বিডিসিলেট ডেস্ক : চায়ের দেশ মৌলভীবাজারে কমছে না শীত। বিশেষ করে চা শিল্পাঞ্চল এলাকা শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
তবে গত কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।’
জানা যায়, পাহাড়ি এলাকা ও চা বাগান বেষ্টিত নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে প্রভাব পড়েছে। সরকারিভাবে তেমন শীতবস্ত্র বিতরণ করা না হলেও ব্যক্তি পর্যায়ে বিপুল পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। ন্যাশনাল টি কম্পানি পরিচালক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু এ পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের মধ্যে প্রায় এক লাখ শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন।
এদিকে শীতজনিত রোগে কাবু হয়ে পড়েছেন বয়স্ক, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। মানুষের পাশাপাশি কষ্টে রয়েছে গবাদিপশুও।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান এলাকার বাসিন্দা জসিম মিয়া বলেন, ‘শীত একটু বেশি।
চারদিকে পাহাড়, তাই শীতে কষ্ট করে কাজকর্ম করতে হয়।’ বাইক্কাবিল হাইল এলাকার বাসিন্দা মিন্নত আলী বলেন, ‘হাওর এলাকায় শীত একটু বেশি থাকে। রোদ থাকায় শীতের তীব্রতা থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে, তা না হলে বাড়ি-ঘর থেকে বের হওয়া অসম্ভব।’