শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
মাহমুদ হোসেন খান:: বাংলাদেশে নিষ্ঠুর বা বিকৃত মানসিকতার বলে যে কয়েকটি খেলার কুখ্যাতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল ষাঁড়ের লড়াই। এই লড়াইয়ে প্রাণীগুলোকে দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য হত্যা করা হয়।বাংলাদেশের পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে অবৈধ ষাঁড়ের লড়াই ও জমজমাট জুয়ার আসরের আয়োজন করা হয়। অবৈধ এই ষাঁড়ের লড়াইকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জুয়ায় অংশ নিতে গভীর রাত থেকেই হাওরে জড়ো হতে থাকে শত শত মানুষ। অবৈধ এই লড়াইয়ের জন্য থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার জন্য মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জীবজন্তুর ওপর নিষ্ঠুর আচরণের জন্য শাস্তির উদাহরণ থাকলেও বাংলাদেশে নেই কেন।
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় দেখা যায়, ইচ্ছাকৃত ভাবে বিভিন্ন পশুদের দিয়ে লড়াই করা, তাদেরকে আহত করা, নির্যাতন করা হয়। দর্শকদের একটু বিনোদন এবং বিশেষ করে আর্থিক লাভের জন্য এক ধরনের মানুষ প্রতিনিয়ত এই খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে শীতের মৌসুমী জুয়াড়িরা পাগল হয়ে যায় এই ষাঁড়ের লড়াই নিয়ে। মানুষ কেন প্রকাশ্যে এই লড়াইয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান না। আমি প্রতিবাদ করেই যাবো, আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই ষাঁড়ের লড়াই বন্ধের জন্য প্রতিবাদ করব। আমি মনে করি পুলিশ প্রশাসনের অবহেলায় কারণে এই ষাঁড়ের নিষ্ঠুর লড়াই বন্ধ হচ্ছে না। অনতিবিলম্বে বাংলাদেশের সকল প্রকার ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই সহ পশুর লড়াই দিয়ে জুয়া খেলা বন্ধ করতে হবে। আমি চাই এদের শাস্তি হোক যেন সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় যে কেউ চাইলেই প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করতে না পারে।