কাজী জুবায়ের আহমদ:: কখনও পড়ালেখায় খারাপ ছিলাম না কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নই দেখতাম না,কারণ সেই লেভেলের স্টুডেন্ট আমি ছিলাম না।
এস,এস,সি পাশ করার পরে যখন শহরে আসি পড়ালেখার জন্য তখন মেছেই থাকতাম। সৌভাগ্যক্রমে আমার রুমমেট দুই বড় ভাই পেয়েছি (পর্যায়ক্রমে) উনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
উনাদের মধ্যে একজন আরিফুল আলম জুয়েল ভাই ন্যাশনাল ব্যাংকে চাকুরী করতেন সাথে বিসিএস এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, আরেক জন মাহবুবুর রহমান ভাই ক্যান্টনমেন্ট স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন তারপরও ভাই প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘন্টা পড়ালেখা করেছেন বিসিএস এর জন্য তাদেরকে দেখে আমিও অনেক অবাক হয়েছি যে,একজন মানুষ এতোক্ষণ পড়েন কিভাবে।
আজকে দুজনই সফল আরিফুল আলম জুয়েল ভাই উপ কর কমিশনার ও মাহবুবর রহমান ভাই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন।
আমি তো কোনদিন তাদের দেখিনি পড়াশুনার বাইরে এসব নিয়ে ভাবতে কিংবা ঘুণাক্ষরেও কথা বলতে।
পরিশ্রম করে গিয়েছেন অনবরত। একাগ্রতা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর মেধা থাকলে তাকে কেউ আটকাতে পারে না- এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।যার জ্বলন্ত উদাহরণ এ দুজন, আমরা প্রিয় দুই বড় ভাই।
অন্যদিকে আমাদের স্কুলের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে একজন হলেন ব্যাংকার Shamsher Alom Rahel ভাই ও আমার বন্ধু প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক Mamunur Rashid Rubel দুজন মানুষ অনেক পরিশ্রমী ও মেধাবী ছাত্র ছিলেন কিন্তু দুজন মানুষ বিসিএস ক্যাডার হতে পারেন নি।
অপরদিকে বন্ধুবর Chowdhury Mohammad Imran বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সে যে চাকুরির পরীক্ষায় আবেদন করেছে সে চাকুরী পেয়েছে কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হতে পারেনি।
এতোসব বলার অর্থ হলো কিছু অসাধু মানুষ অনৈতিকভাবে অর্থের মাধ্যমে অসাধু ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে সেসব মানুষ গুলো এদেশের ভালো চাইবে কিভাবে? তাই আমি মনে করি শুধুমাত্র ড্রাইভার নয় ড্রাইভার এর কাছ থেকে যারা প্রশ্নপত্র নিয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন এবং তাদের আশ্রয় ও পশ্রয় দাতা সবাই সমান দোষী।
আমি বিশ্বাস করি ৩০ লক্ষ শহীদ ভাই বোন দের রক্ত ও দুই লক্ষ মা বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যে অসাধু, দুর্নীতিবাজ মানুষের ঠাঁই হবেনা, ইনশাআল্লাহ।
লেখক : কাজী জুবায়ের আহমদ
কর্মী, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ।