শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: বিড়ি বাকিতে না দেয়ায় চুরিকাঘাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা এমরান মিয়া (৩০)নামে এক যুবককে হত্যা করেছে প্রতিবেশী লিটন মিয়া।
নিহত এমরান উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের হুসনারঘাট গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার পর ঘাতক লিটন মিয়া(৩৫)পালিয়ে যাবার সময় পাতারগাও ইসলামপুর বাজারে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
সে হুসনারঘাট গ্রামের নিহত এমরানের বাড়ির পাশের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দীন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও নিহতের পিতা জানায়,এমরানের বাড়িতে মোদি দোকানে তেল সাবানসহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করা হয়। সকালে ঘাতক লিটন মিয়া(৩৫) এমরানের বাড়িতে গিয়ে বাকীতে বিড়ি চাইলে নিহত এমরানের মা মাজেদা বেগম জানায় তর কাছে আগের বাকীর টাকা পাই তরে বাকীতে বিড়ি দেয়া জাইব না। এই কথা বলার পর ঘাতক লিটন ঝগড়া শুরু করলে বাড়ির ভেতর থেকে এমরান বেড় হয়ে লিটনকে বলে তুই কেন আমার মার সাথে ঝগড়া করতাছস বলার পর পরেই লিটন মিয়া পাশে নিজের বাড়ি থেকে দা ও চুরি এনে দা দিয়ে মাথায় আগাত করে পরে পেয়াজ কাটা চুরি দিয়ে বুকে আগাত করলে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় এমরানের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লিটন পালিয়ে যায়। পরে গুরুত্বর আহত এমরানকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তাকে মৃত ঘোষণা করে।
গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ চানঁ মিয়া জানান, লিটন খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক,সে এর আগেও এলাকায় অনেককেই আগাত করেছে। নিহত এমরানের বাবা চোখে দেখে না। তার ছোট ছোট তিনটি মেয়ে রয়েছে। তার স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। এই ঘটনার নিহতের পরিবারে শোকে মাতম চলছে।
নিহত এমরানের বাবা সাজিদ মিয়া জানান, আমার ছেলেকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি দাবি করছি। যাতে করে আমার মত আর কোনো বাবা এভাবে সন্তানহারা হতে না হয়।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজিম উদ্দীন জানান,নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে আটককে আটক করা হয়েছে। হত্যার ব্যবহৃত দা ও চুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।