শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৮ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডটকম : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মেহেরগাঁও গ্রামে কবিরাজ দাবিকারি শহিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি দুরারোগ্য বিভিন্ন ব্যাধির চিকিৎসা করছেন। তাঁকে দেখাতে এসে অনেক রোগীই দিচ্ছেন গরু-ছাগল, হাঁস-মোরগ। কেউ কেউ নগদ টাকাও দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, তাঁর বাড়িতে ভিড় করেছেন প্রচুর রোগী। যাদের অনেকেই হবিগঞ্জ, সিলেট ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন।
শহিদ মিয়া দাবি করেন, তাঁর চিকিৎসায় অনেক রোগী সুস্থ হয়েছেন। তিনি কোনো রোগীর থেকে কিছু চেয়ে নেন না। যেসব রোগী থেকে গরু-ছাগল নেন এগুলো জবাই করে তাঁর কাছে আসা রোগী ও তাদের স্বজন এবং আশপাশের বাসিন্দাদের খাইয়ে থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কবিরাজ দাবিকারী শহিদ মিয়া ৫/৬ বছর আগে ভূমি অফিসে দলিল লেখার কাজ করতেন। ৫ বছর আগে হঠাৎ করে তিনি তাঁর বাড়িতে কবিরাজি শুরু করেন। তাঁর চিকিৎসায় অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভালো হয়েছেন– এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দিন দিন শহিদ মিয়ার বাড়িতে রোগীর ভিড় বাড়তে থাকে। রোগীদের চিকিৎসার বিনিময়ে শহিদ মিয়া কিছু দাবি করেন না।
রোগীরা সুস্থ হলে, খুশি হয়ে তাঁকে কেউ কিছু দিলে তা তিনি নিয়ে থাকেন। তবে গরু-ছাগল জবাই করে শিরনি বানিয়ে সবাইকে খাইয়ে থাকেন।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন জানান, এ ধরনের চিকিৎসার বৈজ্ঞানিক কোনো সূত্র নেই। এগুলো সম্পূর্ণ অপচিকিৎসা। কবিরাজি চিকিৎসায় কোনো অবস্থাতেই জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভালো হয় না। গ্রামের সহজ-সরল মানুষের আবেগকে পুঁজি করে এসব অপচিকিৎসা চলছে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান বলেন, যারা এ ধরনের অপচিকিৎসা করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।