বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম ::
সিলেটে তৃণমূল বিএনপির ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শিক্ষাক্রম নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা, ৪ শিক্ষক গ্রেফতার জামালগঞ্জে নিষিদ্ধ জাল পুড়ালো উপজেলা প্রশাসন সিলেটে মাদক মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিন: শফিক চৌধুরী লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪৩ বাংলাদেশি সুনামগঞ্জে স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড আ. লীগ আবারও বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে: আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ, হরতাল সফলে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মশাল মিছিল সিলেটে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষাবৃত্তি চেক বিতরণ সম্পন্ন শ্রী শ্রী হরি-গুরুচাঁদ মতুয়া মিশন সিলেট বিভাগের উদ্যোগে শুভ নবান্ন উৎসব ১লা ডিসেম্বর হবিগঞ্জে চলন্ত ট্রাকে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা সুনামগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন সেলিম আহমেদ মোমেনের সঙ্গে প্রার্থী হচ্ছেন মিসবাহ দুই ম্যাচের দায়িত্ব পেয়ে ‘ধোনি’র মতো অধিনায়ক হতে চান শান্ত




কালনী নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে ৩ শতাধিক পরিবার

Untitled 1 samakal 650dc3ebe7e82 - BD Sylhet News




বিডিসিলেট ডেস্ক :
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে কালনী নদীর ভাঙন দেখা দেওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে তিন শতাধিক পরিবার। এরই মধ্যে ভাঙন পৌঁছেছে কারও আঙিনায়, কারও বা দোরগোড়ায়। প্রতিদিন ভাঙনের ফলে অনেকের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে নদীটি।

এরই মধ্যে সেখানকার কয়েকটি পরিবার সব হারিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ জায়গা করে নিয়েছে খাস জমিতে।

আজমিরীগঞ্জ গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকায় প্রতিদিন ভাঙছে পাড়। এতে পিরোজপুর, মাহমুদপুর, নদীপুর, পাহাড়পুরের কয়েকশ পরিবার ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। বাদ পড়েনি রাস্তা, বাঁধ, মসজিদ, শ্মশান, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে আছে পিরোজপুরের ওই তিন শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, ২০ বছর আগে পিরোজপুর গ্রামটি নদীভাঙনের কবলে পড়ে। শুরুতে মুসলিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির বসতভিটা নদীতে চলে যায়। এ ছাড়া কালনী ভাঙনের কারণে নদীপাড়ের বাসিন্দা হারুন মিয়ার ১১২ শতাংশ জমির ওপর করা বাড়িটি নদীতে বিলীন হয়। শুধু বসতভিটাই নয়, নদীতে বিলীন হয় তাঁর প্রায় দেড় একর কৃষিজমি। বছর তিনেক আগে আবারও ভাঙনের কবলে পড়ে এই গ্রামটিসহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রাম। একে একে ওই গ্রামের ধলাই মিয়া, ইয়াকুব মিয়া, মতি মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, মনসুর, উস্তারা, সাবুল মিয়া, শাজাহান মিয়া, আজমান মিয়া, আবদুল হামিদ, রহমত আলী, জাকির হোসেন, লাক মিয়াসহ দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে পড়েছে। গত ৬ মাসে স্থানীয় ১৫ জনের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে।

পিরোজপুর গ্রামের ধলাই মিয়া জানান, ভাঙনে পিরোজপুর গ্রামটি সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে গ্রামবাসী বিভিন্ন জনের কাছে ধরনা দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি। অনেকের বসতবাড়ি, মসজিদসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখনও ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি প্রস্তাবনাও তৈরি করা হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৩
Design & Developed BY Cloud Service BD