বিডি সিলেট:: সিলেট এম সি কলেজ মাঠ ইতিহাস গড়বে। স্মরণকালের সর্ববৃহৎ তাফসিরুল কোরআন মাহফিল হবে এমন প্রত্যাশা করছে মাহফিলের আয়োজক সংস্থা আনজুমানে খেদমতে কোরআন, সিলেট।

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি ও সামাজিক সংগঠন ‘আনজুমানে খেদমতে কোরআন, সিলেট’ এর উদ্যোগে ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারী সিলেট এমসি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিতব্য তিনদিন ব্যাপী ঐতিহাসিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে বুধবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এম সি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ ব্রিফিংয়ে তাফসিরুল কোরআন এর সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন, আনজুমানে খেদমতে কোরআনের সভাপতি ও মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন। আনজুমানে সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মিফতাহ উদ্দিনের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আনজুমানে খেদমতে কোরআনের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা সাইয়েদ একরামুল হক, সংস্থার পৃষ্ঠপোষক মাওলানা হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নুর, ড. নুরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্জ্ব মো: জয়নাল আবেদীন,মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন,সাবেক কাউন্সিলর সোহেল আহমদ রিপন, সংস্থার সহ-সেক্রেটারি নুরুল আলম,বিভিন্ন উপ-কমিটির আহবায়কবৃন্দ প্রমুখ।

প্রেস ব্রিফিং কালে মাহফিলের প্রচার, জনসমাগম, নিরাপত্তা, শৃংখলা সহ সার্বিক বিষয়ে নেতৃবৃন্দ কথা বলেন।আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে প্রশাসনের নজরদারি থাকবে। তারা বলেন, সিলেটের প্রশাসন, পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তর খুবই আন্তরিক। তারা আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

মাহফিলকে ঘিরে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আনজুমান নেতৃবৃন্দ বলেন,মুসল্লীদের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা,নিয়মিত গাড়ির মুভমেন্ট সহজ করা,ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন, সিটি কর্পোরেশন থেকে লাইট স্থাপন, ওয়াসব্লক স্থাপন, মাহফিলে ভিআইপি অতিথিদের নিরাপত্তা, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা, পানি পান ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা,রাস্তাঘাটে দোকান না বসানো, জরুরি ফায়ার সার্ভিস ব্যবস্থা,গাড়ী পার্কিং, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর স্থাপন,নিজস্ব কন্ট্রোল রুম, আইটি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে অবহিত করা হয়।কোরআনের মাহফিল প্রচারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।