মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক : যেকোনো সম্পর্কেই পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ ভীষণ জরুরি। হোক সেটা বন্ধুত্ব, প্রেম কিংবা বিবাহিত জীবন। সব বিবাহিত দম্পতি তাদের বন্ধন শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ খোঁজ করেন। যৌবন থেকে জীবনের গোধূলি পর্যন্ত জীবনসঙ্গীর সঙ্গে হাসি-আনন্দে পথ চলতে চাইলে কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে হয়, আবার কিছু বিষয়ের চর্চাও করতে হয়। অনেকেই প্রশ্ন করেন, সঙ্গীর জন্য কি সামান্য সময় বের করা এতটাই কঠিন! কিছু নিয়ম অনুসরণ করলেই ঘোচাতে পারেন সংসারের সব ঝামেলা, অটুট থাকবে সুখ।
ঘরের কাজ মিলেমিশে করুন
আফরিন চৌধুরী নামে একজন বলেন, ১৫ বছর একসঙ্গে রয়েছি। আমাদের মধ্যে মাঝেমাঝে ঝগড়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আবার নিজেরাই মিটিয়ে নিয়েছি। আমরা দু’জনেই চাকরি করি। অফিসে অনেক বড় দায়িত্বও সামলাচ্ছি। কিন্তু আমরা সব সময়ে এটাই মনে করি যে, অফিসের দায়িত্বও যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের পরিবারও। তাই একে অপরের জন্য সময় বের করতে খুব সমস্যা হয় না। আমরা ভালোই আছি।
আড্ডা দিন
জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকি। আমার স্বামী অফিসে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত থাকেন। সময় বের করতে পারেন না বলেই চলে। তবু সন্ধ্যায় মুখোমুখি বসে আধ ঘণ্টা আড্ডা না দিলে আমাদের দিনটা সম্পূর্ণ হয় না। এই আধ ঘণ্টায় আমরা আমাদের মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হই। তাই যাঁরা বলেন, চাকরি সামলে পরিবারকে সময় দেওয়া যায় না, তাঁরা হয়তো সত্যিই সময় দিতে চান না।
কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে
আহমেদ নিলয় নামে এক চাকরিজীবী বলেন, আমাদের ১২ বছরের দাম্পত্য। আমার স্ত্রী এবং আমি দুজনেই চাকরি করি। এদিকে বাড়ি ফিরে মেয়েকে পড়ানো, সংসারের কাজ করা এবং নিজের জন্য সামান্য সময় আলাদা করে সরিয়ে রাখা সত্যিই মুশকিল। তবু আমরা সেটা করতে পারি। কারণ আমাদের একে অপরের উপরে সেই বিশ্বাসটুকু রয়েছে। সময় দেওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কখনও কখনও ঝগড়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমরা সেটাকে আর বাড়তে দিইনি। সেখানেই ইতি টেনেছি। তাই দিনে ৩০ মিনিট সময়ে আমরা দুজনে কাটাই। তখন মেয়েকেও দূরে রাখি। এখন আমরা খুবই ভালো আছি।
সমস্যা সমাধান করুন
সম্প্রতি বিয়ে করা তিথি সরকার বলেন, আমরা দুজনেই চাকরি করতাম। তারপর দুজন চাকরি ছেড়ে নিজেদের ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করি। সেই সময়ে অনেক ঝড়ঝাপটা সামলেছি। কাজের চাপে একে অপরকে সময় দিতে পারিনি। প্রথম প্রথম সেই নিয়ে সমস্যা হলেও পরে নিজেদের বুঝিয়েছি। তবে একে অপরকে ছেড়ে যাইনি। ধীরে ধীরে সমস্যা মিটে গিয়েছে। আমরা আজ খুব ভালো আছি।