মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
ডেস্ক রির্পোট :: চলতি বন্যায় হবিগঞ্জের ছয়টি উপজেলার ১১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বানভাসি মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বানভাসি মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু উঁচু স্থানে অবস্থিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার ও বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় হবিগঞ্জের নদ-নদীর পানি স্থির থাকলেও সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার পানি হবিগঞ্জের হাওরগুলোতে আসায় ছয়টি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জের নয় উপজেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে ভাটি উপজেলা আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, নবীগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার বন্যার পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এছাড়া হবিগঞ্জ সদর ও বাহুবল উপজেলার আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়লে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে ধারণা করছে উপজেলা প্রশাসন।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে ছয় উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৬টি এবং প্রাথমিক পর্যায়ের ৮০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এ জন্য জেলা শিক্ষা কার্যালয় ছয় উপজেলার ১১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে যে বিদ্যালয়গুলো এখনো প্লাবিত হয়নি, সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বানভাসি মানুষ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, নবীগঞ্জে ১৮টি, আজমিরীগঞ্জে ২২টি, বানিয়াচং উপজেলায় ৪০টিসহ মোট ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া ৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার্তদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহল্লাহ জানান, যে ছয়টি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে, সেসব এলাকার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া বন্যাকবলিত মানুষকে আশ্রয় দিতে গত রোববার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।