শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে নতুন বছর উপলক্ষ্যে সামরিক সরকার ১৬০০ জন বন্দিকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। এরপর রোববার (১৭ এপ্রিল) দেশটির ইনসেইন কারাগারের বাইরে শত শত বন্দির আত্মীয়রা জড়ো হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সুচির বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেই থেকে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন-বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে দেশটির বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বিক্ষোভ দমনে কঠোর অভিযান চালায় জান্তা সরকার।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানা কয়েক মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেশটিতে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। দেশজুড়ে চলে ব্যাপক ধরপাকড়।
বার্ষিক সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পাওয়া বন্দির সংখ্যা গত বছরের ২৩,০০০ এর একটি ভগ্নাংশ। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের কারাগারে থাকা সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না তা স্পষ্ট ছিল না নতুন এই ঘোষণায়।
স্থানীয় এক সাংবাদিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ইনসেইন জেল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
মিয়ানমারের স্থানীয় পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনগুলোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়। আটক করা হয় আট হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে।
জান্তা সরকারের একজন রাষ্ট্রীয় সেক্রেটারি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অং লিন ডুয়ে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন যাতে ঘোষণা করা হয়, ৪২ জন বিদেশিসহ ১৬১৯ জন বন্দিকে মিয়ানমারের নতুন বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে অ্যামনেস্টির অধীনে মুক্তি দেওয়া হবে।
আট মাস আগে গ্রেফতার হওয়া ২২ বছর বয়সী প্রতিবাদকারীর মা প্রতিবেদককে বলেন, তার ছেলে এপ্রিলের সাধারণ ক্ষমাতে মুক্তি পেতে পারে এমন কথা শোনার পর তিনি ইনসেন জেলের বাইরে অপেক্ষা করছেন।
২০২০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ২০২১ সালে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিকে (এনএলডি) হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী।