শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : চুরি করতে গিয়ে মূল্যবান কিছু না পেয়ে বাড়ির বউকে চুমু দেয়ার মতো অদ্ভুত কাণ্ড ঘটাল এক চোর। গৃহকর্তার স্ত্রীকে চুম্বন করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকার বাসিন্দারা।
শুক্রবার ভারতের মুম্বাইয়ের মালাড এলাকায় এ অদ্ভুত ও লজ্জাজনক এ ঘটনাটি ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, রাতের অন্ধকারে মুম্বাইয়ের মালাড এলাকায় একটি বাড়িতে চুরি করতে ঢোকে এক যুবক। বাড়ির দরজা খুলে প্রবেশ করে ভেতর থেকে তা বন্ধ করে দেয়। সে সময় বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহকর্তার স্ত্রী।
চোর ঘরে ঢুকেই খুঁজতে থাকে মূল্যবান জিনিসপত্র। কিন্তু কোনো খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে। মহিলাটি তখন ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ শব্দ শুনে তার ঘুম ভেঙে যায়। উঠে দেখেন সামনে একটি ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে। চোরকে দেখে ভয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করলে চোর গৃহকর্তার স্ত্রীর মুখ একটি কাপড়ে বেঁধে দেয়।
এরপর চোর টাকা, গয়না, মোবাইল ফোন এবং এটিএম কার্ড দাবি করে। গৃহকর্তার স্ত্রী জানান, তার কাছে এ ধরনের কিছুই নেই। হতাশ চোর কিছু সময় নীরব থেকে অদ্ভুত এক কাজ করে বসে। গৃহকর্তার স্ত্রীর দিকে ঝুঁকে তাকে চুম্বন করে এবং দরজা খুলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে হতবাক গৃহকর্তার স্ত্রী পুলিশ স্টেশনে গিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ দেন এবং একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্ত চোর আর কেউ নন, ওই গৃহকর্তার প্রতিবেশী।
যুবকের পরিচয় জানতে গিয়ে পুলিশ আরো অবাক হয়। তার কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই এবং সে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত। কর্মহীন হওয়ায় আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল সে।
পুলিশ জানায়, চুরির উদ্দেশ্যেই যুবক বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। তবে চুরি করতে গিয়ে মূল্যবান কিছু না পেয়ে তার হতাশা থেকেই এ কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, যুবকটির উদ্দেশ্য শুধুই চুরি ছিল, নাকি অন্য কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এঘটনায় অনেকেই বলেছেন, অভিযুক্তকে আগে কখনো এমন কিছু করতে দেখা যায়নি। তার আচরণে হতবাক এলাকাবাসী। এ ঘটনা মুম্বাইয়ের বাসিন্দাদের মাঝে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মামলার তদন্ত চললেও এ ঘটনা সমাজে অপরাধের পরিবর্তিত ধরনের ইঙ্গিত দেয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবারই আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।