বিডি সিলেট :: সিলেট -ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজারের কুতুবপুর এলাকায় বালুবাহী ট্রাক ও শ্রমিক বহনকারী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে সর্বশেষ ১৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিলে আরও ৩ জন প্রাণ হারান। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার (৭ জুন ) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতদের বেশির ভাগেই সুনামগঞ্জ জেলার। নিহত ১৪ জন পরিচয় পাওয়া হেছে তারা হলেন।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সজিব আলীর ছেলে রশিদ মিয়া (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৫), একই উপজেলার বাবনগাঁ গ্রামের মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে শাহিন মিয়া (৪০), দিরাই উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে হারিছ মিয়া (৬৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদিউড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ মিয়ার ছেলে সায়েদ নূর (৫০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার তলেরতন গ্রামের মৃত আওলাদ উল্লার ছেলে আওলাদ হোসেন (৬০), দিরাই উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে একলিম মিয়া (৫৫), গচিয়া গ্রামের বারিক উল্লার ছেলে সিজিল মিয়া (৫৫), ভাটিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (২৭), নেত্রকোনার ভারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে আওলাদ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের শমসের নুরের মেয়ে মেহের (২৪), দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে দুদু মিয়া (৪০), একই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে বাদশাসহ (২২) ১৪ জন।
দুর্ঘটনার পর নাজিরবাজারের দুই দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।পুলিশের তৎপরতায় ৩ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সিলেট মহানগর থেকে পিকআপভ্যানে করে প্রায় ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন।সকাল ৬টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছালে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেট গামী বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়।এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।
খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।