বিডিসিলেট ডেস্ক : হবিগঞ্জের বাহুবলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুণে ৫টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর ঘরগুলোতে থাকা নগদ ৪ লাখ টাকা, ৪টি গরুসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে অন্তত ২২ লাখ টাকা মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার কাশেরগাও হিলালপুর গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উল্লেখিত সময়ে হঠাৎ করেই ওই গ্রামের মৃত ছাব্বির মিয়ার ছেলে আল আমিন মিয়ার বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা মুহুর্তের মধ্যেই চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আগুণের লেলিহান শিখা দেখে লোকজন দিকবেদিক ছুটোছুটি করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজনের প্রায় ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। যদিও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। কিন্তু রাস্তায় বাঁশ ও সরো হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌছাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আর ততক্ষণে অন্তত ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হল, আরিফ বিল্লাহ, ময়না মিয়া, জুবায়ের আহমেদ, আল আমিন ও সাহেদা খাতুন। এর মধ্যে আরিফ বিল্লাহর বসত ঘরে থাকা বিদেশ যাওয়ার জন্য রক্ষিত নগদ ৪ লাখ টাকা ও তার ভাই ময়না মিয়ার বসত ঘরে থাকা ৪টি গরুসহ যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এছাড়াও জুবায়ের আহমেদ, আল আমিন ও সাহেদা খাতুনের ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল আগুণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুটিজুরি তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু রাস্তা সরো হওয়ায় এবং রাস্তার বাঁশ পড়ে থাকায় ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনে। তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে অগ্নিকান্ডে প্রায় ২২ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।