BD SYLHET NEWS
সিলেটশনিবার, ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:৩১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ব্রিটিশ সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ, চাপের মুখে জনসন


জুলাই ৬, ২০২২ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক::ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকারের প্রভাবশালী ও ঊর্ধ্বতন দুজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এ ঘটনায় জনসনের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে।

সরকারের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আকস্মিকভাবে অল্প কিছু সময়ের ব্যবধানে তাদের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। তাদের এই পদত্যাগের ফলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি কনজারভেটিভ সরকারের সংকট আরও গভীর হলো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বরিস জনসন আগে কখনো এত বড় সংকটের মুখে কখনো পড়েননি। এই সংকট কাটিয়ে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে সরকারে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে বরিস জনসন দুঃখপ্রকাশ করার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন এ দুই মন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, সরকারি পদে অযোগ্য একজনকে নিয়োগ দিয়ে তিনি ভুল করেছেন।

পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে তার এমপি পদ বাতিল করা হয়।

এর আগেও বরিস জনসনের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস মহামারির বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে পার্টি আয়োজনের অভিযোগ উঠেছিল। এজন্য পুলিশ তাকে জরিমানাও করেছে।

ঋষি সুনাক ও সাজিদ জাভিদ তাদের পদত্যাগপত্রে সরকার পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী জনসনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ঋষি সুনাক বলেছেন, জনগণ আশা করে যথাযথভাবে, দক্ষতা ও গুরুত্বের সঙ্গে সরকার পরিচালিত হবে।

আর সাজিদ জাভিদ বলেছেন একের পর এক কেলেঙ্কারির পর তিনি মনে করেন না যে, এই সরকারের সঙ্গে আর কাজ করতে পারবেন। তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থ বজায় রাখার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জনসনের সক্ষমতার ওপর তিনিসহ অনেক এমপি আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।

স্বাস্থ্য ও অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পর বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টার্মার বলেছেন, এটি পরিষ্কার যে সরকার ভেঙে পড়ছে।

মাত্র গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দলের এমপিদের এক আস্থা ভোটে জয়ী হন। তবে নিজ দলের বিশাল সংখ্যক এমপি সেদিন তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন।

ব্রিটিশ আইন অনুসারে, আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে নতুন করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা যাবে না। তবে কয়েকজন এমপি তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এই আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।সূত্র: বিবিসি বাংলা

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।