সার্ক কালচারাল সেন্টার (এসসিসি) মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে উদ্বোধন করতে যাচ্ছে ‘সার্ক হেরিটেজ ফোরাম: আঞ্চলিক শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যবাহী স্থান, জাদুঘর ও আর্কাইভ’ কর্মসূচির প্রচার। তিন দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক সম্মেলন দক্ষিণ এশিয়ার যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও প্রচারের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা আন্তঃসীমান্ত সাংস্কৃতিক সহযোগিতা শক্তিশালী করবে। সম্মেলন শেষ হবে ২ অক্টোবর।
কলম্বোর ন্যাশনাল মিউজিয়ামে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন- শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী ড. হারিনি আমারাসুরিয়া ও শ্রীলঙ্কার ধর্ম ও সংস্কৃতবিষয়ক মন্ত্রী প্রফেসর হিনিদুমা সুনিল সেনেভি। এ ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি, আইসিওএম জাতীয় কমিটি, ইউনেস্কো প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক অ্যাটাশে এবং খ্যাতিমান প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন।
দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে রয়েছে বিশ্বের কিছু অনন্য ঐতিহ্য প্রাচীন বৌদ্ধ নিদর্শন থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক হিন্দু, ইসলামিক, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা। তবুও এই অঞ্চলে ঐতিহ্য ব্যবস্থাপনা, চুরি হওয়া নিদর্শনের পুনরুদ্ধার এবং টেকসই সাংস্কৃতিক পর্যটনের মতো বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
‘সার্ক হেরিটেজ ফোরাম ২০২৫’ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলার উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলো হলো- প্রথম সার্ক বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পথ তৈরি করা, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোকে সংযুক্ত করা, দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে ভ্রমণকারী ও তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ সহজ করার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করা, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে যৌথ ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং দিল্লি রেজল্যুশন (২০১৪) এবং ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণার সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ভিশন অগ্রসর করা।
