মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ কর্মকর্তার বেতন স্থগিত করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৬ বারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৫ম গ্রেড থেকে ৪র্থ গ্রেডের পদে অবৈধভাবে পদোন্নতি দিয়েছিলেন সাবেক উপাচার্য ড. হাসিবুর রশীদ।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগস্ট-২০২৪ বেতন বিলে স্বাক্ষর করা হলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদোন্নতি পাওয়া সেই ৮ জন কর্মকর্তার বেতন-ভাতা স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে এ অবৈধ পদন্নোতি সম্পর্কে ধারাবাহিক ২টি প্রতিবেদন ‘ইউজিসিকে বেরোবির বৃদ্ধাঙ্গুলি’ ও বেরোবিতে ৪র্থ গ্রেডের বাছাই বোর্ডের বিশেষজ্ঞ ৫ম গ্রেডের কর্মকর্তা! শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক দেশ রূপান্তর। উপাচার্যের দায়িত্ব নেয়ার পর বিষয়টি নজরে আসলে তাদের ৪র্থ গ্রেডের চাকরির বেতন স্থগিত করেন উপাচার্য।
চলতি বছরের ২৯ জুন অনুষ্ঠিত ১০৫তম সিন্ডিকেট সভায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ৯ জন কর্মকর্তার পদোন্নতির অনুমোদন করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ। ৯ জনের মধ্য হতে ৮ জনের বেতন-ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। বাকি একজন পদোন্নতি পেলেও কর্মে যোগ দেননি।
৫ম গ্রেড থেকে ৪র্থ গ্রেডে পদোন্নতি পেয়ে একমাসের বেতন উত্তোলনও করেছিলেন এই কর্মকর্তারা। ৪র্থ গ্রেডের বেতন ভাতা স্থগিত হওয়া ৮ কর্মকর্তা হলেন, সংস্থাপন শাখার ড. জিয়াউল হক, মোস্তাফিজার রহমান মন্ডল, জনসংযোগ দপ্তরের মোহাম্মদ আলী, পবিহন পুলের তাপস কুমার গোস্বামী, কাউন্সিল শাখার ময়নুল আযাদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের ফিরোজুল ইসলাম, সিডিটি’র এসএম আব্দুর রহিম ও উপাচার্য দপ্তরের খায়রুল ইসলাম।
এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, এই বিষয়টি নজরে এসেছে। আমি আগের পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি এবং লিগ্যাল অ্যাডভাইজরের সাথে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত ৫ম গ্রেডের বেতন উত্তোলনে বাধা নেই। তবে আমি ৪র্থ গ্রেডের বেতনাদির বিষয়ে তার কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছি। তার লিখিত মন্তব্য আসলে বিষয়টি সম্পর্কে পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসবে।