মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০২ অপরাহ্ন

শিরোনাম ::
সকল ফাঁসির আসামীদের পূর্ণ বিচারের আগ পর্যন্ত সাধারণ জীবনযাপনের দাবিতে মানববন্ধন নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে: বাসদ সিলেটে নদী থেকে ইটভাটা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার টাংগুয়ার হাওরে ৮ লাখ টাকার জাল, নৌকাসহ আটক ১৬ মালয়েশিয়ায় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু সিলেটে চিনিকান্ডে দুই বিএনপি নেতা স্থায়ী বহিস্কার আ.লীগের যেসব নেতা গ্রেফতার হয়েছেন এইচএসসি পরিক্ষায় ৫৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল খাবার ধীরে ধীরে খাওয়ার উপকারিতা সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ সাংবাদিক হেনা মমোর পিতার মৃত্যুতে অনলাইন প্রেসক্লাবের শোক সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আপেল জব্দ বড়লেখায় খাল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার মৌলভীবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১




সৌদিতে নির্যাতনের শিকার ছেলেকে ফিরে পেতে বাবার আকুতি

image 137552 1691236168 - BD Sylhet News




বিডিসিলেট ডটকম : ‘জমিজমা বিক্রি করে ছেলেকে কাজের ভিসায় সৌদি আরবে পাঠাইছিলাম। ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কোম্পানির ড্রাইভিং ভিসার জন্য লিখিত চুক্তি করছিলাম। কিন্তু তাকে বিদেশে কাজ না দিয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। ছেলেটার জীবনটা শেষ করে দিল আমার এলাকার জসিম উদ্দিন। আমার ছেলেরে কেউ এনে দেন।’ সৌদি আরবে পাঠানো ছেলে খয়ের আহমেদ খানকে ফিরে পেতে এভাবে আকুতি করছিলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চিতলীয়া এলাকার বাসিন্দা ওয়ারিছ খান।

তাঁর দাবি, খয়েরকে সৌদি আরব পাঠাতে একই এলাকার জসিম উদ্দিনের সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি। চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রথমে আড়াই লাখ টাকা দেন। এর পর বাকি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে আরও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেন। বাকি ৮০ হাজার টাকা বিদেশে গিয়ে দুই মাসের বেতন পেয়ে খয়েরের পরিশোধ করার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী তিনি সৌদি আরবে পৌঁছে জসিমের ভাই ফারুক উদ্দিনের কাছে যান। সেখানে ফারুক তাঁকে চুক্তিনামায় লেখা কাজ না দিয়ে নির্যাতন শুরু করেন। সেখানে থাকা স্বজনের মাধ্যমে ওয়ারিছ খান এ তথ্য জেনেছেন। এদিকে তিন দিন ধরে খয়েরের মোবাইল ফোন বন্ধ। তাঁর সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত জসিমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। জসিমের ছোট ভাই মুহিত বলেন, ‘খয়েরকে আমার ভাই মারধর করেনি। খয়েরকে তার সহযোগী মারধর করে রুম থেকে বের করে দিয়েছে।’

চিতলীয়া বখশীটিলা জামে মসজিদের হিসাবরক্ষক মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘জসিম ঢাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছেন। তিনি সোমবার আসবেন। আমরাও তার ফোন বন্ধ পাচ্ছি।’

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জসিমের বড় ভাই সৌদি প্রবাসী ফারুক উদ্দিন বলেন, ‘আমার এখানে আসার পর খয়েরকে কাজে লাগিয়ে দেই। কিন্তু সে কাজ পছন্দ না হওয়ায় আমাকে গালাগালি করে নিজের রুমে চলে যায়। সেখানে সে তার সহযোগীদের সঙ্গে মারামারি করে আহত হয়েছে। পরে বিষয়টি একজন সমাধান করে দিয়েছেন। তাকে আমি কখনও মারধর করিনি।’

আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিয়াজ মোর্শেদ রাজু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৪
Design & Developed BY Cloud Service BD