স্পোর্টস ডেস্ক: গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে কঠোর হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েক দিন আগে দেশটির সামরিক বাহিনী থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করেছেন তিনি। এবার সেই তালিকায় যোগ হয়েছে মেয়েদের খেলাধুলা।
এখন থেকে মেয়েদের খেলায় আর ট্রান্সজেন্ডার খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।
শিক্ষাখাতে ১৯৭২ সালে প্রণীত লৈঙ্গিক বৈষম্য দূরীকরণ আইনের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা করদাতাদের কাছ থেকে ডলার গ্রহণকারী প্রতিটি বিদ্যালয়কে নোটিশ দিচ্ছি, যদি আপনারা নারীদের খেলার দলে পুরুষদের (ট্রান্স নারী) নিয়ন্ত্রণ করতে দিতে চান এবং আপনাদের লকার রুমে প্রবেশ করতে দিতে চান, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধে টাইটেল নাইন লঙ্ঘনের তদন্ত হবে। কেন্দ্রীয় তহবিল পাওয়া ঝুঁকিতে পড়বে।
নারীদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরং ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের আগে সার্বিকভাবে নারীদের খেলা থেকে ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেটদের নিষিদ্ধ করে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) ওপর চাপ তৈরির পরিকল্পনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা চাই, তারা অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ও পুরোপুরি হাস্যকর এই বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছু বদলে ফেলবে।’
ওই আদেশনামায় দাবি করা হয়েছে, নারীদের খেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ‘বায়োলজিক্যাল দিক বিবেচনা করে দেখা উচিত। লিঙ্গ পরিচয় বা টেস্টোটেরনের কম থাকার মতো বিষয়কে বিবেচনা করে কাউকে নারী খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত নয়। তবেই নারী অ্যাথলেটদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
২০২৩ সালে করা গ্যালপের এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রান্স ক্রীড়াবিদদের তাদের লিঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ খেলাতেই শুধু অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া উচিত বলে যুক্তরাষ্ট্রের ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করেন। ২০২১ সালে করা জরিপের তুলনায় এ হার ৭ পয়েন্ট বেশি। সূত্রে: এএফপি