শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম ::
সিলেটে সেই রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টকাণ্ডে মামলা, আসামি ছাত্রদল নেতাসহ ৩০০ সিলেট ওসমানী হাসপাতাল এলাকা থেকে বৃদ্ধ “নি খোঁ জ” বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের শনিবার সিলেটে ১০০ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না! বেকারত্বে ভেঙে পড়ছে বিপ্লবী ছাত্রদের স্বপ্ন উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে: আসিফ মাহমুদ যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বৈদ্যুতিক বাইক উন্মোচন খালি পেটে গাজরের রস খাওয়ার উপকারিতা হবিগঞ্জে দেখা মিলেছে ভালুক, জনসাধারণ চলাচলে সতর্কতা জারি শাল্লায় রাস্তার কাজে লাখো মানুষের আনন্দের জোয়ার লিবিয়ায় ৪৫ লাখেও বাঁচানো গেল না রাকিবের প্রাণ উত্তম রিজিকের জন্য দোয়া ও করণীয় স্বামীকে নিয়ে তনির আবেগঘন স্ট্যাটাস বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে




প্রবাসে কবর কেনা নিয়ে প্রতিযোগিতা!

Screenshot 20250111 002925 Facebook - BD Sylhet News




বিডি সিলেট ডেস্ক:: জীবদ্দশায় কত প্রবাসীর দুর্দিন চলছে, চাকরি নেই, ঘরে খাবার নেই, নিয়মিত ঘর ভাড়া দিতে পারছেন না। জীবন নির্বাহ তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। সদস্যদের এসব সমস্যা নিয়ে অধিকাংশ সংগঠনের মাথাব্যথা নেই। অথচ মৃত্যুর পর সংগঠনের সদস্যদের কবর দিতে অগ্রাধিধার ভিত্তিতে নেওয়া হচ্ছে মেগা প্রকল্প। কবর কেনা নিয়ে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে এই প্রবাসে।

খোদ প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমব্রেলা সংগঠন হিসাবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির সদ্য বিদায়ী কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের মাধ্যমে কবর কেনার অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে, প্রবাসের অন্যতম বড় আঞ্চলিক সংগঠন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি হাতে নিয়েছে মেগা প্রকল্প ‘বাংলাদেশ সিমেট্রি’। প্রায় এক লাখ কবর তৈরি করা যাবে, সম্প্রতি এমন ১২৬ একর আয়তনের জমি কিনেছে সংগঠনটি। অথচ জীবদ্দশায় প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না এই সংগঠনের সদস্যরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সদস্য আক্ষেপ করে বলেন, আমেরিকায় আসার পর ডেলিভারি কাজে একটি ইলেকট্রিক বাইক কেনার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। অথচ সংগঠনের ফান্ডে লাখ লাখ ডলার জমা পড়ে আছে। কর্মকর্তারা ইচ্ছা করলে বাইকের জন্য লোন হিসাবে অর্থ দিতে পারেন। সহজ শর্তে কিস্তিতে তা শোধও করা যেতে পারে। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ কেউ নিচ্ছেন না। বরং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের কবর কিনে তা বিক্রি করেও মুনাফা অর্জনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই মুনাফা দিয়ে ভবন কেনা হচ্ছে। সেই ভবন থেকে আয়ও হচ্ছে।

তারা বলেন, বছরে একটি পিননিক, ইফতার পার্টি, বর্ষবরণ এবং নতুন কমিটির অভিষেকে মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। সামাজিক এসব কর্মকাণ্ডের প্রয়োজন আছে। কিন্তু জীবদ্দশায় সদস্যদের কল্যাণে কিছু কর্মকাণ্ড অন্তত থাকা উচিত।

প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠনের একজন সদস্য বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তার অ্যাসাইলাম কেস আদালতে গড়িয়েছে। আইনজীবী নিয়োগে ফি দিতে হচ্ছে। তাদের সংগঠন এ কাজে যদি আইনি সাপোর্ট দিত তাহলে অনেকে উপকৃত হতেন। অথচ এ ধরনের জনকল্যাণমুখী কাজের উদ্যোগ কেউ নিচ্ছে না।

ওই সদস্য আরো বলেন, মৃত্যুর পর প্রবাসে মৃত ব্যক্তির কবর দেওয়া ব্যয়বহুল। বিভিন্ন সংগঠন তাদের সংগঠনের সদস্যদের এ ব্যাপারে সহায়তা দেয়। তাদের এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসীয়। কিন্তু জীবদ্দশায় সদস্যদের কল্যাণে সংগঠনগুলোর কিছু করা উচিত।

ইমিগ্রেশন জটিলতায় ভুক্তভোগী অনেক প্রবাসীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছেন ইমিগ্রেশন ও অ্যাক্সিডেন্ট বিশেষজ্ঞ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রবাসে অর্থের অভাবে অনেকে আইনি সেবা পাচ্ছেন না। তিনি সাধ্যমত তাদের সহযোগিতা করছেন, দিচ্ছেন পরামর্শ। কিন্তু সংগঠন গুলো পাশে দাঁড়ালে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।

তিনি বলেন,আনডকুমেন্টেড অনেক প্রবাসী এখন বিপদে আছেন। এখন তাদের সঠিক পরামর্শ দরকার। সংগঠনগুলো চাইলে সভা-সেমিনার আয়োজন করে ভুক্তভোগীদের সচেতন করতে পারে।

অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করছি- বিভিন্ন সংগঠন কবর কিনছে। এটা ভালো ও মহতি উদ্যোগ। কিন্তু এ বিষয়ে সামঞ্জস্য থাকা উচিত। কবর কেনার পাশাপাশি জীবদ্দশায় সদস্যদের কল্যাণে সংগঠনগুলোর এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ সোসাইটির কবর কেনা নিয়ে বিতর্ক : বাংলাদেশ সোসাইটির বিদায়ী কমিটির বিরুদ্ধে নতুন কমিটির অভিযোগ- গঠনতন্ত্র অমান্য করে কাউকে না জানিয়ে সোসাইটির অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া হয়েছে আড়াই লাখ ডলারের বেশি অর্থ। যা অপর একটি সমিতি থেকে কবর কেনার মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে, যা নিয়ে এখন ক্ষুব্ধ সমিতির নতুন কমিটি ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ প্রবাসীরা।

তারা এখন বলছেন, কবর কেনার মতো এতো বড় একটি বিষয় নিয়ে লুকোচুরি ও অন্ধকার খেলা ঠিক হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের ঢাকঢোলের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া সমীচিন নয়। সোসাইটির কোষাগারের তিনভাগের দুই ভাগ অর্থ চলে যাবে আর নির্বাচিত নতুন কমিটি তা জানবে না এটা এক ধরনের অন্যায়।

বাংলাদেশ সোসাইটির নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, বিদায়ী কমিটি যে কাজটি করেছে তা অগ্রহণযোগ্য। ১৬ ডিসেম্বর সোমবার রাতে অভিষেক অনুষ্ঠানে বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ মঞ্চে ঘোষণা দিয়েছেন সোসাইটির ফান্ডে ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৭ ডলার। অথচ একই দিন সকালে কবর কেনার জন্য ২ লাখ ৫২ হাজার উত্তোলন করা হয়েছে। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর সোসাইটির ফান্ডে পেলাম মাত্র ১ লাখ ডলারের বেশী কিছু অর্থ। তিনি বলেন, একটি মহৎ কাজ কেন অবৈধ উপায়ে করতে হবে?
সূত্র – ঠিকানা নিউজ

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৪
Design & Developed BY Cloud Service BD