রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
বিডি সিলেট :: সিলেট বাসীর জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় এসেছে নতুন নিয়ম এবং সহজীকৃত পদক্ষেপ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে, লাইসেন্স প্রাপ্তি এখন আগের চেয়ে স্বচ্ছ ও সহজ। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের হয়রানি কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
লার্নার লাইসেন্স: প্রথম ধাপ
ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রথম ধাপ হলো শিক্ষানবিশ (লার্নার) লাইসেন্স। আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য বয়সসীমা ১৮ বছর এবং পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২১ বছর।
আবেদন প্রক্রিয়া:
আবেদন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইনে।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
1. পাসপোর্ট সাইজ ছবি
2. জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি
3. রেজিস্টার্ড ডাক্তারের স্বাস্থ্য সনদ
4. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
5. ইউটিলিটি বিল (যদি ঠিকানা ভিন্ন হয়)
ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও বায়োমেট্রিক: আবেদনের পর প্রার্থীদের সিলেট কালেক্টরেট ভবনে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হয়।
ড্রাইভিং দক্ষতা পরীক্ষা:-
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ড্রাইভিং দক্ষতার পরীক্ষা নিতে হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা SMS এবং অনলাইনে ফলাফল দেখতে পারবেন। উত্তীর্ণ হলে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে।
ফি এবং মেয়াদ
লার্নার লাইসেন্স ফি:
১ ক্যাটাগরি: ৫১৮ টাকা
২ ক্যাটাগরি: ৭৪৮ টাকা
স্মার্ট কার্ড লাইসেন্স ফি:
অপেশাদার: ৪৪৯৭ টাকা (মেয়াদ ১০ বছর)
পেশাদার: ২৭৭২ টাকা (মেয়াদ ৫ বছর)
ড্রাইভিং লাইসেন্স বিতরণ
ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড ডাকযোগে প্রার্থীর ঠিকানায় পাঠানো হবে। তবে কার্ড হাতে পাওয়ার আগে অস্থায়ী স্লিপ ব্যবহার করতে হবে।
বিশেষ নির্দেশনা
পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক।
বর্তমানে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন নেই।
বিআরটিএ সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল বারী জানান, “নতুন প্রক্রিয়ার ফলে লাইসেন্স পেতে সময় ও হয়রানি কমে এসেছে। আমরা জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”