মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম ::
সকল ফাঁসির আসামীদের পূর্ণ বিচারের আগ পর্যন্ত সাধারণ জীবনযাপনের দাবিতে মানববন্ধন নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে: বাসদ সিলেটে নদী থেকে ইটভাটা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার টাংগুয়ার হাওরে ৮ লাখ টাকার জাল, নৌকাসহ আটক ১৬ মালয়েশিয়ায় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু সিলেটে চিনিকান্ডে দুই বিএনপি নেতা স্থায়ী বহিস্কার আ.লীগের যেসব নেতা গ্রেফতার হয়েছেন এইচএসসি পরিক্ষায় ৫৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল খাবার ধীরে ধীরে খাওয়ার উপকারিতা সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ সাংবাদিক হেনা মমোর পিতার মৃত্যুতে অনলাইন প্রেসক্লাবের শোক সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় আপেল জব্দ বড়লেখায় খাল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার মৌলভীবাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১




৬ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন শিশু মুনতাছির

1 1726034692 - BD Sylhet News




বিডিসিলেট ডেস্ক :  নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১২ বছর বয়সী শিশু মো. মুনতাছির আলম মাত্র ছয় মাসে কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা কোরআন মুখস্ত করে পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের অবাক করে দিয়েছে মুনতাছির।

সে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ্ বিভাগের ছাত্র এবং মুনতাছির উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বেপারী বাড়ির মো. শাহ আলম-রোকসানা আক্তার দম্পতির ছেলে।

জানা যায়, ছেলে জন্মের আগেই মায়ের নিয়ত ছিল ছেলে হলে তাকে কোরআনে হাফেজ বানাবেন। এতে মত ছিল বাবারও। যেমন নিয়ত, তেমন কাজ। এরপর ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বাবা ও মায়ের ইচ্ছায় ছেলে মুনতাছিরকে বাড়ির পাশে দারুল ফালাহ মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। এরপর ৬ মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে কোরআনে হাফেজ হন। এতে পরিবারে দেখা দেয় পরিবর্তন। পরিবারের সবার মধ্যে কথাবর্তা, আদব কায়দা, নামাজ কালামে পরিবর্তন চলে আসে। ছেলের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা ছেলে নামকরা হাফেজে আলেম হয়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করবে।

মাদরাসার শিক্ষক ও স্থানীয়রা বলছে, মা-বাবা তার ছেলেকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। এ জন্য ছেলেকে মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান। তাদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোরআন মুখস্ত করে মুনতাছির। মুসলিম হিসেবে কোরআনে হাফেজ হওয়া পরিবার ও সমাজের জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া।

শিশু হাফেজ মো. মুনতাছির আলম বলেন, মা-বাবা ও মাদরাসার ওস্তাদদের সহযোগিতায় আমি ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করি। সবার কাছে দোয়া চায় আমি যেন দেশ বরেণ্য আলেম হতে পারি।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু নাছের বলেন, শুধু মাদরাসার শিক্ষকরাই নয় এলাকাবাসীও শুভ কামনা জানিয়েছেন শিশু হাফেজ মুনতাছিরের জন্য। তাদের প্রত্যাশা ইসলাম প্রসারে ভূমিকা রাখবে এ ক্ষুদে হাফেজ। সমাজের মানুষে থেকে আরও বেশি দ্বীনি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।

মুনতাছিরের বাবা শাহ আলম বলেন, আমার ছেলে জন্ম হওয়ার আগেই তার মায়ের নিয়ত ছিল ছেলেকে হাফেজ বানানোর। আল্লাহর রহমতে আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চায় আমার ছেলে যেন দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে পারে।

দারুল ফালাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুবক্কর ছিদ্দিক বলেন, ২০২৪ সালের শুরুর হিফজ্ বিভাগে ভর্তি হয়ে সে ছয় মাসের মধ্যে হিফজ্ সম্পন্ন করে। এতে তার পিতা-মাতার আন্তরিকতা সহযোগিতা এবং ওস্তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ এবং সহযোগিতা ছিল। ২০১৮ সালে মাদরাসায় হেফজ বিভাগ চালু হওয়ার পর থেকে ৪৪ জন ছাত্র হিফজু সম্পন্ন করে। বর্তমানে হিফজু বিভাগে ৬৪জন ছাত্র অধ্যয়নরত রয়েছে। ভবিষ্যতে সে দেশ বরেণ্য হাফেজ ও আলেম হতে চায়। ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন বাবা-মা।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৪
Design & Developed BY Cloud Service BD