নিজস্ব প্রতিবেদক :: ছাতকের ১০নং দোলারবাজার ইউনিয়নের কুরশী ইসলামপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও কুরশী ইসলামপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রশিদ আহমদকে বিদায় উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বাদ যোহর মাদ্রাসার হলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন কুরশী ইসলামপুর দাখিল মাদ্রাসার বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং ইসলামপুর গ্রামের প্রবাসীবৃন্দরা।
বিদায়ী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: নুরুল হক ও মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র ইব্রাহিম বিন আশরাফী, মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা কয়েছ আহমদের যৌথ পরিচালনায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বুরাইয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হযরত মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, প্রধান অতিথি ছিলেন ১০নং দোলারবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নুরুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দোলারবাজার ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: জুনাইদ আহমদ, সাহেল আহমদ, মোহাম্মদ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, সায়াম উদ্দিন, শাকিল আহমদ, বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও সাবেক ছাত্র ক্বারী ফয়জুনুর ও সাবেক ছাত্র আক্তার বিন নুর, মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আতাউর রহমান তালুকদার সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, সহকারী শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি ২০১২ সালে অত্র মাদ্রাসায় যোগদান করেন এবং দীর্ঘ ১৩ বছর নিষ্ঠা, সততা ও মানবিকতা নিয়ে শিক্ষকতা করে আসেন। তাঁর কর্মজীবনে তিনি শুধু একজন শিক্ষকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত অভিভাবক, পথপ্রদর্শক এবং সমাজের আস্থাভাজন ব্যক্তি। প্রায় দীর্ঘ ১৩ বছর শিক্ষকতা শেষে বৃহস্পতিবার বিদায়ী ঘোষণা দেন এই প্রধান শিক্ষক।
এতে শিক্ষকের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করছেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। চাকরি জীবনের মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত মাওলানা মো. রশিদ আহমদ তিনি নেত্রকোনার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ ১৩ বছর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। মাদ্রাসাটির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রিয় শিক্ষককে বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকেও সম্মাননা স্বরূপ হাদিয়া দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মাদ্রাসা ও ছাত্র/ছাত্রীর পক্ষ থেকে কিছু উপহার প্রদান করা হয় এবং দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। পুরো মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে একটি বিষাদের ছায়া নেমে আসে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ অশ্রুসিক্ত নয়নে তাঁকে বিদায় জানান।

 
 
                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                                     
                 
                                     
                                     
                                     
                                     
                                 
                                 
                                 
                                