রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : সরকারি বাসভবন যমুনায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতারা।
তারা বলছেন, আজ হোক, কাল হোক জাতীয় নির্বাচনে যেতে হবে। যত দ্রুত সংস্কারকাজ করে নির্বাচন দেওয়া হবে, ততই তা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ভালো এবং রাজনীতি ও দলের জন্যও ভালো হবে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেলা আড়াইটা থেকে বিএনপির সঙ্গে প্রথম সংলাপ শুরু হয়।
প্রতিটি দল ও জোটের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংলাপ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ১৮টি রাজনৈতিক দলের এটি তৃতীয় দফার সংলাপ।
সংলাপে রাজনৈতিক দলের আমন্ত্রিত নেতারা জানান, প্রথমত তারা প্রধান উপদেষ্টার কথা শোনেন। পরে তারা রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ বিষয়ে সরকারের মনোভাব এবং তাদের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, সংলাপের সময় অন্তর্বর্তী সরকারকে সব রাজনৈতিক দল সমর্থন জানিয়েছে।
অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে ছয় কমিশন।
নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। বেলা আড়াইটার দিকে দলটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে এবং ঘণ্টাব্যাপী হয় আলোচনা।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চেয়েছি আমরা। অন্তর্বর্তী সরকারের এক নম্বর অগ্রাধিকারও নির্বাচন।’ এটি প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ছাড়াও সংলাপে অংশ নেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংস্কার করতে হবে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচন কবে হবে তার একটা রোডম্যাপ দিতে বলেছি। বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যেন সংস্কার কমিটিতে না আসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এনআইডি কার্ড হস্তান্তরে আইন বাতিল এবং ইউনিয়ন পরিষদ বাতিলের দাবি জানিয়েছি। পাতানো নির্বাচন করার দায়ে বিগত তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনারদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের মূল হোতা বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনার দাবি জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনে স্বৈরাচারের নিয়োগ করা দোসররা এখনো রয়েছেন। তাদের অবিলম্বে সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে বসানোর কথা বলেছি। বিতর্কিত জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সরিয়ে দেওয়া এবং নতুন ফিটলিস্ট তৈরির কথা বলেছি। গত ১৫ বছরে যাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়নি, তাদের পদোন্নতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিচার বিভাগে ৩০ জন বিচারপতি ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় নিয়োগ করা। দলকানা এসব বিচারপতিকে দ্রুত অপসারণ দাবি জানিয়েছি। নতুন পিপি ও জিপি নিয়োগ করার কথা বলেছি। এ ছাড়া শেখ হাসিনার পতনের পর যারা সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন, তাদের আবারও জামিন দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি। দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রী-আমলারা কীভাবে বিদেশ পালাচ্ছেন, তা খুঁজে বের করতে এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে যে ষড়যন্ত্র করছেন- এ ব্যাপারে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। গুমের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং জাতিসংঘের টিমকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছি। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার ও নিশ্চিতকরণে প্রস্তাব করেছি।’
নির্বাচনের আগে সংস্কার জরুরি: জামায়াত
শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার যমুনায় প্রবেশ করেন। বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির জানান, সংস্কার ও নির্বাচন- এই দুটি রোডম্যাপ দিয়েছে জামায়াত। ভোটের আগে সংস্কার, এরপর নির্বাচন। এ জন্য অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত। কারণ নির্বাচনের আগে সংস্কার বেশি জরুরি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি। তারা দেশে শাসনের সুষ্ঠু পথ বিনির্মাণের জন্য এসেছে। আমরা আশা করব, বর্তমান সরকার কোনো পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে দেশকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আগামী ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। আমরা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই, সেটা কতদিনের তা আমরা জানাব।’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও কমিশন বাড়ানোর প্রস্তাব ইসলামী আন্দোলনের
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে পিআর পদ্ধতিতে (সংখ্যানুপাতিক হারে) জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং আরও ৯টি সংস্কার কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। এগুলো হলো- আইনবিষয়ক সংস্কার কমিশন, নাগরিক সেবাবিষয়ক সংস্কার কমিশন, পররাষ্ট্রবিষয়ক সংস্কার কমিশন, শিক্ষাবিষয়ক সংস্কার কমিশন, বাকস্বাধীনতাবিষয়ক সংস্কার কমিশন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন, শ্রমজীবীবিষয়ক সংস্কার কমিশন, সংখ্যালঘু ও নৃগোষ্ঠীবিষয়ক সংস্কার কমিশন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
বিকেল ৫টার দিকে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে দলটির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ অংশ নেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘খুনি, অর্থ পাচারকারী, দাগি অপরাধীরা কীভাবে দেশ থেকে পালাল? আপনারা কেন তাদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছেন। যতটুকু সময় লাগে সংস্কারকাজ শেষ করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। স্বৈরাচার খুনিরা যেন কোনোভাবে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে না পারে, সে ব্যবস্থা করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।’
মামলা প্রত্যাহার ও সংস্কারকাজ দ্রুত করার তাগিদ হেফাজতের
বৈঠকে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা তিন শতাধিক মামলা প্রত্যাহার এবং রাষ্ট্র সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা শায়খ সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, আবদুল বাসেত আজাদ, মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।
২০১৩ সালে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার; নতুন শিক্ষানীতি ব্যবস্থায় কমিটিতে দুজন বিশেষজ্ঞ আলেম-ওলামায়ে অন্তর্ভুক্ত; শিক্ষা কমিশনের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া, বায়তুল মোকাররমে খতিব নিয়োগে পরামর্শ করা, দ্রব্যমূল্য কমানো এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দুই-তিন মাসের মধ্যে নতুন পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার শেষে দ্রুত রোডম্যাপ চায় বাম জোট
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমেও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে তারা প্রস্তাবে উল্লেখ করেন।
বৈঠকে বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এবং বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং সমন্বয়ক ও বাসদ-মার্কসবাদী দলের সমন্বয়ক মাসুদ রানা নেতৃত্বে ৯ জনের একটি প্রতিনিধিদল।
লিখিত প্রস্তাবে জোট নেতারা বলেন, ‘সভায় ছয়টি কমিশনের কাজের অগ্রগতি এবং কমিশনের প্রধানদের নিয়ে, বিশেষ করে সংবিধান সংস্কার কমিশনপ্রধান নিয়ে বিতর্ক এবং সন্দেহ অনভিপ্রেত।’ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংবিধান যতটুকু সংশোধন দরকার, ততটুকু সংশোধন করার উদ্যোগ, নির্বাচনের রোডম্যাপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিন্ডিকেট ভাঙা, সমতল ও পাহাড়ের জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের ঘটনার বিচার, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার দাবি জানান।
দুই বছরের মধ্য নির্বাচনসহ ১৩ প্রস্তাব এবি পার্টির
সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ১১টি দাবি জানিয়েছে এবি পার্টি। দাবিগুলো হলো- আগামী দুই মাসের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশকে সক্রিয় করা, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, আইন, স্বাস্থ্যসহ যেসব মন্ত্রণালয়ের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়, সেখানে দায়িত্বে রদবদল আনা, অবিলম্বে গণতদন্ত কমিশন গঠন করে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সব নৃশংসতা জাতির সামনে তুলে ধরা এবং শহিদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। গণহত্যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগী ব্যক্তি, সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের বিচারের জন্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’-এর পাশাপাশি ‘ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা, রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার ঐক্যকে সুসংহত করতে একটি ‘শক্তিশালী সমন্বয় টিম’ গঠন করা, দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
নতুন ইসি গঠন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ চায় গণতন্ত্র মঞ্চ
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার দাবি জানিয়েছে ৬-দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
শনিবার বিকেল ৫টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী হয় এ সংলাপ। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য কমানো, শিল্প অঞ্চলে শ্রমিক আন্দোলনে অস্থিরতা কমাতে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ সংলাপে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাইফুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা বলেছি, একটি সফল নির্বাচন করতে পারলে তাদের যাত্রা সফল হবে। যদি তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে দেশ ব্যর্থ হবে। তাই নির্বাচনের রোডম্যাপের ব্যাপারে তাদের মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।’
গণ অধিকার পরিষদের দুই অংশ
শনিবার রাত সোয়া ৮টায় সভাপতি নুরুল হক নূর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। এর আগে পৌনে ৮টার দিকে গণ অধিকার পরিষদের আরেক অংশের প্রধান উপদেষ্টা ড. রেজা কিবরিয়া, আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব ফারুকের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়। তারা গণহত্যাকারী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে।