মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ ৬৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছে ছাত্রদল। ২০২২ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত ছাত্রদলের সোহেল-আরিফ কমিটির ওপর হামলার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে এ মামলা করেন। মামলার সাক্ষী হিসেবে রয়েছে বাদিসহ মোট ৮ জন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্যান্য আসামিরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোনেম শাহরিয়ার হাসান মুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিউজ্জামান সামি, সাংগঠনিক সম্পাদক আসিফ হোসেন, সহ-সভাপতি রেহানুল লাভলী, উপ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেন, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আলিফ, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম আকাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাধন মিয়া ও আজিজুল হক, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল হোসেন, কর্মী সোলায়মান হাবিব ও ২০১৪-১৫ সেশনের আব্দুর রহিম।
এছাড়াও রয়েছে, হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল শাখার সভাপতি শহিদুল হক শিশির ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন, জহুরুল হক হল সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, জগন্নাথ হল সভাপতি কাজল দাস ও সাধারণ সম্পাদক অন্তু বর্মন, সলিমুল্লহ মুসলিম হল সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক নিশাত সরকার, জসীম উদ্দিন হল সভাপতি অলিউর রহমান সুমন ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, মুজিব হল সভাপতি মেহেদী হাসান শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, বিজয় একাত্তর হল সভাপতি সজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ, জিয়া হল সভাপতি তুষার আহমেদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল ইসলাম শান্ত, সূর্যসেন হল সভাপতি মারিয়ম জামান খান সোহান ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান, ফজলুল হক হল সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসিব মুক্ত, শহীদুল্লাহ হল সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক শারীফ আহম্মেদ মুনীম, অমর একুশে হল সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক সোহাগ।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী- আশিকুর রহমান অমি, মিল্টন শেখ, ফারহান তানভীর নাসিফ, নুহাশ ফেরদৌস, সেলিম রেজা, হারুন-অর-রশিদ, হাবীব খান, মো. হৃদয় মিয়া, মো. মাজাহারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন লালন, সিফাত আহমেদ, আরাফাতুল ইসলাম রেদুয়ান, শওকত মিয়া, কামরুল হাসান শুভ, আদনান হাবীব, তানভীর হাসান শান্ত, মহীউদ্দিন, নাসির উদ্দিন মিরাজ, নিশাদ নুর, আরিফ ইশতিয়াক রাহুল, আলী হাসান রিফাত, আবু আরেফিন আলভী, রাহাত তানজিল ও শান্ত রহমান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ছাত্রদলের নবগঠিত সোহেল-আরিফ কমিটি ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন।
মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল ছাত্রলীগের একক আধিপত্য, নৈরাজ্য ও নির্যাতন। আমরা চাই নতুন এই বাংলাদেশে এসব প্রতিটি ঘটনার বিচার হোক। যেহেতু এ ঘটনা ছিল হত্যার উদ্দেশ্যে তাই বিজ্ঞ আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
ঘটনায় আহত ও মামলার সাক্ষীদের একজন বর্তমানে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন শাওন। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রলীগের মতো ছাত্রদল প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তাই এ ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আশা করি, দেশের প্রচলিত আইনে এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে।