BD SYLHET NEWS
সিলেটশুক্রবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৪৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিজের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের শীর্ষে এই ১০ সিইও


নভেম্বর ২০, ২০২৫ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বর্তমানে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বিভিন্ন দেশে সাফল্যের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর পেছনে কর্মীদের অবদান অপরিসীম। তবে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। তাঁরা শুধু প্রতিষ্ঠানকে নেতৃত্বই দেন না, প্রতিষ্ঠানে কাজের পরিবেশ তৈরি করেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে, প্রযুক্তিতে নতুন অগ্রগতি সৃষ্টি করে। বদলে যায় কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রা। টাইমস অব ইন্ডিয়া বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ১০ সিইওর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। জেনে নেওয়া যাক তাঁদের সম্পর্কে।

১. ইলন মাস্ক
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্র্যান্ড ‘টেসলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। তাঁকে এ খাতের পথিকৃৎ বলা চলে। বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ টেসলার হাতে। এর অর্থ হলো মাস্কের ব্যবসা জমজমাট। আর এর সুবাদে বছরে ২ হাজার ৩৫০ মার্কিন ডলার আয় করেন তিনি। ইলন মাস্ক এ অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পান না; বরং এর বেশির ভাগই টেসলার শেয়ারের ওপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ কোম্পানির উন্নতি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে তাঁর মোটা অঙ্কের বেতনের পরিমাণ নির্ধারিত হয়। বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে টেসলার সাফল্যের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদেরও গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

২. টিম কুক
মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপলের সিইও টিম কুক। তিনি অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের পর প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেন। এর পর থেকে তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি একের পর এক অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেন। যার মাধ্যমে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেন। এর অংশ হিসেবে প্রথম কোম্পানি হিসেবে দুই লাখ কোটি ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাইলফলক স্পর্শ করে অ্যাপল। টিম কুকের বার্ষিক বেতন ৭৭ কোটি ডলার। স্টক গ্র্যান্ট, বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা মিলে তিনি এই বেতন পান। যার সঙ্গে কোম্পানির শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও তাঁর টিমের সদস্যদের সাফল্য যুক্ত।

৩. সুন্দর পিচাই
২০১৫ সাল থেকে সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট ইনকরপোরেশনের সিইওর দায়িত্ব পালন করছেন সুন্দর পিচাই। গুগল, ইউটিউব ও দ্রুত বর্ধনশীল গুগল ক্লাউডের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা বড় করার পেছনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর মাধ্যমে গুগলকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন সুন্দর পিচাই। তাঁর বেতন বছরে ২৮ কোটি ডলার।

৪. জেনসেন হুয়াং
মার্কিন চিপ কোম্পানি এনভিডিয়ার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেনসেন হুয়াং। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রাণভোমরা হচ্ছে এই চিপ। ফলে এনভিডিয়ার ব্যবসায়িক বিকাশই এখন প্রযুক্তি খাতের স্বাভাবিক ঘটনা। সে সুবাদে কোম্পানিটি একের পর এক সমৃদ্ধির মাইলফলক অর্জন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এনভিডিয়ার উত্থানের পাশাপাশি হু হু করে সম্পদ বেড়েছে এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াংয়েরও। প্রতিষ্ঠিত এ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গত মাসে বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম কোম্পানি হিসেবে পাঁচ লাখ কোটি মার্কিন ডলারের বাজার মূলধনের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে হুয়াং বছরে ৫৬ কোটি ডলার বেতন পান।

৫. রিড হ্যাস্টিংস
ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সিইও রিড হ্যাস্টিংস। তিনি দূরদর্শী চিন্তার মাধ্যমে দুবার বিনোদনশিল্পে বিরাট পরিবর্তন এনেছেন। তিনি প্রথমে ডিভিডির মাধ্যমে বাজারে বিপ্লব ঘটান। রিড হ্যাস্টিংসের নেতৃত্ব নেটফ্লিক্সকে বিশ্বব্যাপী একটি শক্তিশালী বিনোদনজগতের প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করে। ২০২৩ সালে সহ-সিইও হিসেবে পদত্যাগ করে নির্বাহী চেয়ারম্যান হন। তাঁর নিরলস পরিশ্রম ও অসামান্য প্রভাবের কারণে কোম্পানিটি বৈশ্বিক বিনোদনজগতে আধিপত্য বজায় রেখে চলছে। তাঁর বার্ষিক আয় ৪৫ কোটি ডলার।

৬. লেওনার্ড শ্লেইফার
ক্যানসার, চোখের রোগ ও স্বাস্থ্যের অন্যান্য গুরুতর সমস্যার জন্য উদ্ভাবনী চিকিৎসাপদ্ধতি তৈরির জন্য লেওনার্ড শ্লেইফার পরিচিত। তিনি বায়োটেকনোলজি প্রতিষ্ঠান রিজেনারন ফার্মাসিউটিক্যালের সিইও। লেওনার্ড শ্লেইফারের অধিকাংশ আয় আসে শেয়ারবাজার থেকে। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানি কতটা বৃদ্ধি অর্জন করেছে, এটি তার প্রমাণ। তাঁর বার্ষিক বেতন ৪৫ কোটি ডলার।

৭. মার্ক বেনিওফ
মার্কিন সফটওয়্যার কোম্পানি সেলসফোর্সের সিইও মার্ক বেনিওফ। কোম্পানিটি ক্লাউড প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাস্টমার ম্যানেজমেন্ট সেবা দিয়ে থাকে। তিনি বছরের পর বছর ধরে সেলসফোর্সকে বড় করেছেন। এভাবে বেনিওফ কোম্পানিটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ডেটা সার্ভিসের মতো নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়েছেন। তাঁর বার্ষিক বেতন ৪৩ কোটি ডলার।

৮. সত্য নাদেলা
অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান ও সিইও সত্য নাদেলা। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মার্কিন ২০১৪ সালে কোম্পানির দায়িত্ব নেন। ক্লাউড কম্পিউটিং ও এআইয়ে গুরুত্ব দিয়ে কোম্পানিকে রূপান্তরিত করার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। নাদেলার নেতৃত্বে মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা এটিকে বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তাঁর বছরে বেতন আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছর তাঁর বেতন বেড়ে প্রায় ১০ কোটি ডলার হয়েছে।

৯. রবার্ট এ. কোটিক
রবার্ট এ. ববি কোটিক ১৯৯১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভিডিও গেম প্রতিষ্ঠান অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ডের সিইও হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি সমস্যায় জর্জরিত কোম্পানিটিকে বিশ্বের অন্যতম সফল বিনোদন জায়ান্টে পরিণত করার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন।

১০. হক ই. ট্যান
প্রযুক্তি জায়ান্ট ব্রডকমের সিইও হক ই. ট্যান। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি, বিশেষ করে এআই খাতে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।