শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : নেটফ্লিক্সের অন্যতম জনপ্রিয় শো ‘ব্রেকিং ব্যাড’। যেন সেই কল্পকাহিনিরই একটি পর্ব সরাসরি উঠে এল বাস্তব জীবনে। রসায়নের এক কৃতি ছাত্রকে ‘ক্রিস্টাল মেথ’ বা ‘মেথামফেটামিন’ তৈরির জন্য নিয়োগ করেছিল চেন্নাইয়ের এক মাদক চক্র। এমনকি, শহরে একটি গোপন পরীক্ষাগার পর্যন্ত স্থাপন করেছিল চক্রটি।
তবে, তাঁদের এই পরিকল্পনা সফল হয়নি; জারিজুরি ফাঁস করে দিয়েছে চেন্নাই পুলিশ। পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছে সাতজন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজন ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রকৌশলে স্নাতক। আরেকজন চেন্নাইয়ের এক নামকরা কলেজের রসায়নে স্নাতকোত্তর। অন্য এক প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বিএসসি পাস করেছিলেন। দুর্দান্ত ফলের জন্য তাঁকে স্বর্ণপদক পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল।
এই তরুণ কৃতি ছাত্রদেরই মাদক তৈরি এবং বিক্রির কাজে লাগিয়েছিল মাদক চক্রটি। অরুণ কুমার নামে এক দাগী অপরাধীর কাছ থেকে অল্প মেথামফেটামিন নিয়ে মাদকের কারবার শুরু করে এই ছাত্রদের দল। পরে নিজেরাই মেথামফেটামিন তৈরির পরিকল্পনা করে। এরপর তাঁরা দলে টানে রসায়নের স্নাতকোত্তরকে। তারপর তারা ক্রিস্টাল মেথ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক উপাদান সংগ্রহ করে।
এর জন্য নিজেদের পরিবার থেকেও টাকা এনেছিল তাঁরা। এক ছাত্র তাঁর বাবা-মাকে বলেছিল, তাঁরা একটি ক্যাফে খুলছে, তাই কিছু টাকার প্রয়োজন। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ছেলে ব্যবসা করতে আগ্রহী দেখে তাঁর বাবা-মাও তাকে সাহায্য করার জন্য টাকা দিয়েছিলেন।
পুলিশ যখন এই মাদক চক্রকে আটক করে, তখন তাঁদের পরীক্ষাগারে ২৪৫ গ্রাম মেথামফিটামিন ছিল। এছাড়া সেখান থেকে ২টি ল্যাপটপ এবং ৭টি মোবাইল ফোনও জব্দ করেছে পুলিশ।
এখন পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও দুই ব্যক্তিকে খুঁজছে। একজন হলেন অরুণ কুমার, যার কাছ থেকে মাদক নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিল ছাত্ররা, অপরজন কার্তিক।