আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হিজবুল্লাহর ছোড়া রকেট ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি পুলিশ আজ সোমবার ভোরে এই খবর জানিয়েছে। ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে, দেশটির উত্তরে এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে।

হিজবুল্লাহ বলেছে, হাইফার দক্ষিণে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে তারা ‘ফাদি ১’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুটি রকেট ইসরায়েলের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল হাইফায় আঘাত হেনেছে এবং অন্য পাঁচটি ৬৫ কিলোমিটার
(৪০ মাইল) দূরে টাইবেরিয়াসে আঘাত করে।
পুলিশ জানিয়েছে, কিছু ভবন এবং সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া কিছু লোককে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা সামান্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৈরুতে তাদের যুদ্ধবিমান হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। যেখানে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের উপায়, কমান্ড সেন্টার এবং আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বৈরুত শহরের কেন্দ্রস্থলে আবাসিক ভবনগুলোতে ইচ্ছাকৃতভাবে কমান্ড সেন্টার স্থাপন এবং অস্ত্রশস্ত্র রেখে বেসামরিকদের জীবন বিপন্ন কারার জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে।

এদিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বের্শেবাতে বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নারী পুলিশ সদস্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

নিহতের নাম শিরা চায়া সুসলিক (১৯), তিনি ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের সার্জেন্ট।
শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্টেশনে এই হামলাকে পুলিশ সন্দেহজনক ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং হামলার পর ঘটনাস্থলেই বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বলেছে, চিকিৎসকরা ১০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ ছিলেন।

গত সপ্তাহেও দেশটির জাফা এলাকায় জনসাধারণের ওপর বন্দুকধারী গুলি ও ছুরি হামলা চালালে সাতজন নিহত হয়। সূত্র : রয়টার্স