বিডি সিলেট ডেস্ক :: জোবেদা খাতুন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধা নারীকে তার বসত ঘরের মধ্যে দাফন করা হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার দৌলতখানের পশ্চিম জয়নাগর ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় – দেড় বছর আগে জোবেদা খাতুনের স্বামী আব্দুর রশিদ মারা যান। তখন তাকে দাফন করা হয়েছিল তার ভাতিজা রফিকের জায়গায়। পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই কবরের উপরে রফিকের স্ত্রী তাসনুর বেগম ঝাড়ু দিয়ে কবরকে অ-সম্মান করায় জোবেদা খাতুন তার ছেলে মেয়েকে মৃত্যুর আগে বলেছেন, তাকে যেন মৃত্যুর পর অন্য কারও জায়গায় দাফন না করা হয়।প্রয়োজনে তার ঘরের মধ্যে দাফন করতে বলেছেন।
মৃত জোবেদা খাতুনের বড় ছেলে রফিজল জানান, তাদের বাড়িতে সাড়ে পাঁচ শতক জমি রয়েছে, ঘরের ভিটায় আড়াই শতক বাকি তিন শতক জমি তার চাচাতো ভাই রফিক দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করতেছে। ঘরের ভেতর তার মাকে দাফন না করলে হয়তো এক সময় তার চাচাতো ভাই রফিক বাকি জমি দখল করে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, একদিকে মায়ের কবর হলো অন্যদিকে তাদের ঘর ভিটা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলো। রফিকের বিল্ডিংয়ের দরজার সামনেই জোবেদা খাতুনকে কবর দেওয়া হলো।এলাকাবাসী জোবেদা খাতুনের কবর ইট দিয়ে পাকা করে দিচ্ছে। যাতে করে রফিক ভবিষ্যতে জোবেদা খাতুনের কবরসহ ঘর ভিটা দখল করতে না পারে।
এ বিষয়ে রফিকের বাবার সাথে কথা বললে, তিনি জানান এ বাড়িতে সব জমি তার। এ বাড়িতে অন্য কারো জমি নেই।
এ ব্যাপারে পশ্চিম জয়নাগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন বাচ্চু জানান, উভয়ের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। আমি মৃত জোবেদা খাতুনের বড় ছেলে রফিজলকে মসজিদের পাশে কবরস্থানে লাশ দাফন করতে বলেছিলাম কিন্তু তারা আমার কথা শুনেনি। সূত্র – দেশ রূপান্তর