শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম ::
সিলেট ওসমানী হাসপাতাল এলাকা থেকে বৃদ্ধ “নি খোঁ জ” বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের শনিবার সিলেটে ১০০ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না! বেকারত্বে ভেঙে পড়ছে বিপ্লবী ছাত্রদের স্বপ্ন উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে: আসিফ মাহমুদ যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বৈদ্যুতিক বাইক উন্মোচন খালি পেটে গাজরের রস খাওয়ার উপকারিতা হবিগঞ্জে দেখা মিলেছে ভালুক, জনসাধারণ চলাচলে সতর্কতা জারি শাল্লায় রাস্তার কাজে লাখো মানুষের আনন্দের জোয়ার লিবিয়ায় ৪৫ লাখেও বাঁচানো গেল না রাকিবের প্রাণ উত্তম রিজিকের জন্য দোয়া ও করণীয় স্বামীকে নিয়ে তনির আবেগঘন স্ট্যাটাস বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে খুলনার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিলেট




সিলেটে আবারও বাড়ছে পানি,বন্যার শঙ্কা

FB IMG 1719776598496 - BD Sylhet News




বিডি সিলেট ডেস্ক:: সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় কুশিয়ারা নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে অন্য নদ-নদীর পানি রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, রোববার বিকেল চারটা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা সিলেট বিভাগের ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি) থেকে অতি ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের ওপরে) বৃষ্টি হতে পারে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ২ জুন থেকে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর ওই পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি কমেছে মাত্র ১ সেন্টিমিটার। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, দুটি নদীর পানি এসে কুশিয়ারা নদীতে গিয়ে মেলে। এতে অন্য নদ-নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারার পানি বাড়ে। একই কারণে পানি ধীরগতিতে নামে। এ ছাড়া নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় পানি ধীরগতিতে নামছে। তবে বৃষ্টি হলে ও পাহাড়ি ঢল নামলে পানির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৫৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি সন্ধ্যায় ৯ দশমিক ৯৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার।

এদিকে সিলেটের সুরমা নদীর পানি কমলেও সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকা গোয়াইনঘাটের জাফলং, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে। জৈন্তাপুরের সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি শনিবার সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রোববার সেটি বৃদ্ধি পেয়ে ১০ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সারি নদীর গোয়াইনঘাট পয়েন্টে পানি শনিবার ৯ দশমিক ৩৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আর রোববার এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার।

পাউবো সিলেটের কর্মকর্তারা বলছেন, সিলেটের সীমান্ত এলাকায় প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর পানির বাড়া-কমার বিষয়টি ভারতে বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে।সিলেটে কম বৃষ্টি হলেও ভারতের বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি ঢল নিম্নাঞ্চলে প্রবাহিত হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে রোববার পর্যন্ত ১০ হাজার ৯০৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় ৬৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ২১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে লোক উঠেছেন। তবে সিলেট সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন নেই।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৪
Design & Developed BY Cloud Service BD