শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম ::
সিলেট ওসমানী হাসপাতাল এলাকা থেকে বৃদ্ধ “নি খোঁ জ” বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের শনিবার সিলেটে ১০০ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না! বেকারত্বে ভেঙে পড়ছে বিপ্লবী ছাত্রদের স্বপ্ন উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে: আসিফ মাহমুদ যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বৈদ্যুতিক বাইক উন্মোচন খালি পেটে গাজরের রস খাওয়ার উপকারিতা হবিগঞ্জে দেখা মিলেছে ভালুক, জনসাধারণ চলাচলে সতর্কতা জারি শাল্লায় রাস্তার কাজে লাখো মানুষের আনন্দের জোয়ার লিবিয়ায় ৪৫ লাখেও বাঁচানো গেল না রাকিবের প্রাণ উত্তম রিজিকের জন্য দোয়া ও করণীয় স্বামীকে নিয়ে তনির আবেগঘন স্ট্যাটাস বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে খুলনার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিলেট




ঈদযাত্রায় শেষ মুহূর্তেও টার্মিনাল ও স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

Untitled 1 copy 1 - BD Sylhet News




বিডি সিলেট ডেস্ক : রাত পোহালেই পবিত্র। খুশির এই দিনটি স্বজন ও পরিবারের সঙ্গে উদযাপনের জন্য শেষ মুহূর্তেও বাড়ি ফিরছে মরিয়া হয়ে উঠেছে মানুষ। রবিবার (১৬ জুন) ভোর থেকেই বাস টার্মিনাল ও কাউন্টার এবং রেলস্টেশনে ছুটতে থাকে সবাই। নির্ধারিত সময় বাস না পেয়ে অনেকেই বাস কাউন্টারে সামনে অপেক্ষা করতে থাকেন। আবার অনেকেই নির্দিষ্ট সময় বাস পেয়ে রওনা দিয়েছেন অনেকে। রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, সায়দাবাদ, গুলিস্তান বাস টার্মিনাল এবং কল্যাণপুর, কলেজ গেট, কলাবাগান, আরামবাগ, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়সহ রাজধানীর সব পরিবহন কোম্পানির কাউন্টারের সামনেই ঘর-মুক্ত যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। এই সুযোগে পরিবহন কোম্পানিগুলো নির্ধারিত ভাড়া চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের ভোগান্তি যেন আরো বেড়েছে। রবিবার সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে সকালের দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়। তবে সকাল দশটার পর থেকে যানজট কমতে থাকে। দুপুরের দিকে যানজট কমে এই মহাসড়কের স্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এরপর কোথাও কোনো যানজট হয়নি। তবে চন্দ্রা মোর এলাকায় কিছুটা যানজট ও যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। আগে থাকতে টিকিট কেটে না রাখায় এখন কাঁটা লাইনে ঘরে ফেরার জন্য শত শত যাত্রী চন্দ্রামোড় এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে শনিবার সকালের দিকে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় থেমে থেমে ধীরগতিতে চলেছে যানবাহন। তবে রবিবার সকাল থেকেই এই সড়কে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ঈদে ঘরমুখী মানুষ এই দুই মহাসড়ক ব্যবহার করে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে। তবে তাদের বেশি ভাড়া গুনতে হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা সিলেট মহাসড়কেও কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন চলাচল করছে।

মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন কোম্পানিগুলো সুযোগ বুঝে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহাখালী বাস টার্মিনালে ময়মনসিংহের যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, আজ শেষ দিনে অনেক মানুষ ঢাকা থাকতে টার্মিনালে ভিড় করেছে। এই সুযোগে পরিবহন কোম্পানিগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অনেক বেশি ভাড়া আদায় করছে। এই বিষয়টা দেখার কেউ নেই। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের বাস ভাড়া স্বাভাবিক সময় ৩২০ টাকা। ইমাম, সৌখিন, আলম এশিয়া পরিবহনের বাসে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।

রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালেও যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। এখানে পরিবহনের কর্মীরা বাসের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। সায়দাবাদ ও গুলিস্তান বাস টার্মিনালেও একই অবস্থা। গুলিস্তান থেকে এসি বাসে বরিশালের ভাড়া স্বাভাবিক সময় ৬০০ টাকা হলেও এখন নেয়া হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। সায়দাবাদ থেকে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৮০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এই বাচ্চাগুলো এবং আশেপাশের বাস কাউন্টারগুলোতে রবিবারও ধর্ম অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে।

পরিবহন কর্মীরা বলছেন, ঈদযাত্রা শুরু হওয়ার পর অনেকবার ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্য গেছে। এখন সেসব কাজগুলো যাত্রী ছাড়াই ফিরে আসছে। অনেক বাস খালি হয়ে ঢাকায় ফিরবে। তাই লোকসান পুষিয়ে নিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।

যাত্রী আশিকুর রহমান বলেন, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। তবে গাড়ি সেভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে পরিবহনকর্মীরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের লক্ষ্যে যানবাহনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে।

সায়েদাবাদে নোয়াখালীর বাসের জন্য অপেক্ষমাণ অপর যাত্রী জগলুল হাসান বলেন, ঈদের সময় বাড়তি ভাড়া নেবেই। এটা কোনোভাবে কখনোই আটকানো যায়নি। কিন্তু আজকে দেখছি বাসের সংকট। ঢাকা ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো সময়মতো ফেরেনি। এই রুটের অন্যান্য বাস গুলোতে ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি নিচ্ছে।

ঈদযাত্রার শেষ মুহূর্তে রবিবার সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা যাত্রীদের পাশাপাশি স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। সব বমিতেই স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় হয়। তবে প্রেমের কোন সিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। এটাই তো সবার পাশ থেকে দশ মিনিটের মধ্যেই ট্রেনগুলো যাত্রী বোঝাই হয়েছে স্টেশন ত্যাগ করেছে।

অপরদিকে দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীদের গন্তব্যের অন্যতম স্টার্টিং পয়েন্ট সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালেও সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। চাঁদপুর, ভোলা, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, হুলারহাট, ভান্ডারিয়া, ঝালকাঠি, বরগুনা, সহজ সব রুটের লঞ্চগুলোতে ব্যাপক যাত্রী সমাগম হয়। ডেকের যাত্রীদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। টেবিলগুলো অনেক আগেই হতভাগ বুকিং হয়ে যায়। এখন যারা যাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগি ডেকের চাকরি হিসেবে লঞ্চে বাড়ি ফিরছেন।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৪
Design & Developed BY Cloud Service BD