শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

শিরোনাম ::
শান্তিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর জুমার খুতবা চলাকালে নামাজ পড়া যায়? কুমড়ার বীজ অতিরিক্ত খেলে হতে পারে যেসব বিপদ মেয়েদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডারদের নিষিদ্ধ করলেন ট্রাম্প হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী নিহতের ঘটনায় আটক ৫ সারাদেশে হামলা ভাঙচুরের যত ঘটনা একুশে পদক পাচ্ছেন ১৪ বিশিষ্টজন ও জাতীয় নারী ফুটবল দল এ বয়সে আমি কি বেডসিন করব: বাপ্পারাজ কমলগঞ্জে শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার রোজার পণ্যে ভরপুর বাজারে দামও কম ‘স্বপ্ন ছিল ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে, আমি হবো ইঞ্জিনিয়ারের মা’ ‘যাই হোক না কেন, আমরা গাজা ছেড়ে যাব না’ বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলা ডিপসিক এবার বিধিনিষেধের কবলে শেখ মুজিবের ভাঙা বাড়ি থেকে যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন

দুর্ভিক্ষ ও বুলেট-বোমার আতঙ্কের মধ্যে যেমন কাটবে গাজাবাসীর ঈদ

Untitled 10 copy 1 - BD Sylhet News




আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্ষুধায় নাজেহাল গাজাবাসী এবার ঈদের দিনেও থাকবেন বুলেট-বোমার আতঙ্কে। সঙ্গে থাকবে সব হারানোর বেদনা। এর মধ্যও পুরনো কাপড় সেলাই করছেন অনেকে। মিষ্টির বিকল্প হিসেবে তৈরি করছেন আটার বিস্কিট। যা খাবে শিশুরা।

ইসরাইলি বাহিনীর নির্মমতায় পুরো গাজাই যেনো ধ্বংসস্তুপ। ৬ মাসে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যারা এখনো বেঁচে আছেন, রোজায় সেহেরি আর ইফতারে খাওয়ার মতো ভালো কিছুই পাননি। এমন বাস্তবতার মাঝেই এসেছে ঈদ।

হামলা বন্ধ বা যুদ্ধবিরতির লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। ইসরাইলি সেনাদের অত্যাচারে আতঙ্কে ঈদের দিন কাটবে গাজাবাসীর। গাজার এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঈদ নেই এখানে। কেনার মতো কিছুই নেই। আর কিছু পেলেও সামর্থ্য নেই। ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের আগে, আমরা ঈদের জন্য মিষ্টি, জামাকাপড় কিনতাম। সব ধরনের প্রস্তুতি নিতাম। এখন তাঁবুতে থাকি, নিজের বাড়িঘর নেই। খুব খারাপ অবস্থায় আছি।’

ঈদের জন্য হাতেই বিস্কিট বানাচ্ছেন দেইল আল বালা শহরের বাস্তুচ্যুত নারীরা। ছিঁড়ে যাওয়া পুরোনো কাপড় সেলাই করে নিচ্ছেন অনেকে। কারও তাও করার সামর্থ্য নেই।

গাজার এক ফিলিস্তিনি নারী বলেন, ‘বাচ্চাদের জন্য মিষ্টান্ন হিসেবে বিস্কিট বানিয়েছি। কিন্তু ঈদের জন্য জামা-কাপড় নেই। আমার মেয়ে বড় হয়েছে, তার জন্যও কোনো কাপড় নেই। সব ছিঁড়ে গেছে।’

জামা-জুতা কিংবা ভালো খাবার নয়, যুদ্ধ বন্ধের মধ্যেই ঈদের আনন্দ খুঁজছেন গাজাবাসী। এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঈদ… যুদ্ধে আবার কেমন ঈদ। এখানে কোনো ঈদুল ফিতর নেই, নেই ঈদুল আজহা। আমাদের জন্য ঈদ মানে যুদ্ধ ও আগ্রাসনের সমাপ্তি।’

এখনো যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় আছেন গাজার মানুষ। আশা, শিগগির শেষ হবে ইসরাইলের আগ্রাসন।

শেয়ার করুন...














বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৫
Design & Developed BY Cloud Service BD