স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের মান নিয়ে আগের দিনই প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুমিনুল হক। এক দিন না যেতেই তার সঙ্গে সূর মেলালেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চ্যালেঞ্জটা পান না বলেই দাবি করলেন অধিনায়ক।
চট্টগ্রাম টেস্টেও শ্রীলঙ্কার কাছে ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে তো রীতিমতো বিধ্বস্তই হয়েছিল দলটি। দুই টেস্টেই ব্যাটারদের ধৈর্যের ঘাটতি দেখা গিয়েছে প্রকটভাবে। মনোযোগের ঘাটতিও ছিল উল্লেখ করার মতো। ওয়ানডে এমনকি টি-টোয়েন্টি মেজাজেই খেলতে দেখা যায় তাদের। যোগ দেন আত্মাহুতির মিছিলে। পর্যাপ্ত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট না খেলার কারণেই এমনটা হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে আগ্রহীই নন টাইগাররা। কেন খেলেন না তার পক্ষেও যুক্তি দেখান অধিনায়ক। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের মান আরও বাড়ানোর তাগিদ দেখিয়ে বললেন, ‘ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের উইকেট যদি আরেকটু বেটার হয়, (আন্তর্জাতিক অঙ্গনে) যেরকম কন্ডিশনে আমরা খেলব চ্যালেঞ্জগুলা যদি ফেইস করতে পারি তাহলে খুব ভালো হয়।’
মানসম্পন্ন ম্যাচ খেলতে পারলে উন্নতির জায়গা সবসময়ই দেখছেন অধিনায়ক, ‘আমার কাছে স্টিল মনে হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমরা যেরকম চ্যালেঞ্জ আমরা এখানে ফেইস করি ওইরকম কোয়ালিটি ম্যাচ সেখানে আমরা খেলতে পারি না। আমাদের প্লেয়ারদের যদি আরও ম্যাচ করে খেলতে পারি যে আন্তর্জাতিকের সঙ্গে তাহলে অবশ্যই ভালো হবে। যত বেশি ম্যাচ খেলব কিছু না কিছু তো উন্নতির জায়গা থাকেই।’
তবে এই ঘাটতি পূরণে ‘এ’ দলের সফর আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা দেখছেন শান্ত, ‘আমার কাছে যে জিনিসটা সবচেয়ে কার্যকরী মনে হবে তখনই যখন আমরা কোনো সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে ওই জায়গায় যেন এ টিমের সঙ্গে বাংলাদেশ এ টিম পাঠাতে পারি। তাহলে যে সকল প্লেয়ার শুধু টেস্ট খেলছে বা যারা শুধু একটা দুইটা ফরম্যাট থেকে তারা যদি আগে ম্যাচ খেলতে পারে তাহলে আমার মনে হয় ভালো হবে।’
‘কন্ডিশন ও প্রস্তুতি ভালো হবে। যারা তিন ফরম্যাটে খেলে তাদের জন্য কঠিন। তাদের মেন্টালি প্রস্তুতি নিতে হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলে যদি আমরা এ টিম একটা পাঠাতে পারি তাহলে এই জায়গাটাতে মনে হয় আরেকটু উন্নতি হবে,’ যোগ করে আরও বলেন অধিনায়ক।