শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন

শিরোনাম ::
ইসলামী আন্দোলন সিলেট মহানগরের ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠিত সিলেট বিভাগের বিএনপির ৯ নেতা বহিস্কার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে গ্রিসে প্রবেশের সময় স্ট্রোকে জগন্নাথপুরের হাফিজুরের মৃত্যু বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত সিলেটে সড়ক দু’র্ঘটনায় নি’হ’ত ২, প্রবাসীসহ আ’হ’ত ৪ শিক্ষাই হলো সমাজ পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি – এড.নাসির উদ্দিন খান উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চায় ইসি ইরান-পাকিস্তানকে আলাদা করার কোনো উপায় নেই: রাইসি সিলেটে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল কামরুজ্জামান কামরুলের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত ৫ জুন সিলেটের ৭টিসহ ৫৫ উপজেলায় নির্বাচন সুনামগঞ্জে ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেফতার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ইরানে হামলা করতে চেয়েও কেন সিদ্ধান্ত বদল ইসরাইলের




রমজানে দান-সদকা বাড়িয়ে দিন

FB IMG 1710630405037 - BD Sylhet News




ধর্ম ও জীবন ডেস্ক: ‘যদি তোমরা দান প্রকাশ্যে করো তবে তা উত্তম; আর যদি তা গোপনে করো এবং অভাবীদের দাও, তবে তা তোমাদের জন্য শ্রেয়। এর মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের মন্দগুলো মোচন করে দেবেন। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা অবগত আছেন।’ (সূরা বাকারা-২৭১)।

রমজান মাস দান-সদকার মাধ্যমে অধিক সওয়াব অর্জনের মাস। রমজান দয়া ও করুণার মাস। এ মাসে রোজাদার উপবাস থাকার মাধ্যমে অভাবী মানুষের প্রতিদিনকার দুঃখগুলো অনুভব করার চেষ্টা করেন। ক্ষুধা ও পিপাসায় নিজেকে কষ্ট দিয়ে সহমর্মী হন গরিব দুঃখী মানুষের প্রতি।

সিয়াম সাধনা মানুষকে দানশীলতা, বদান্যতার শিক্ষা দেয়। মহান আল্লাহ এ মাসে মানুষকে রহমত করে অন্যের প্রতি দয়া ও রহমতের শিক্ষা দিয়েছেন। করুণা ও দয়ার উপদেশ দিয়েছেন।

হাদিসে এসেছে-‘নবিজি (সা.) এমনিতেই অধিক পরিমাণে দান করতেন। যখন থেকে জিবরাইল (আ.) তাঁর কাছে আসা শুরু করেন, তখন থেকে মাহে রমজানে তিনি প্রবহমান বাতাসের মতো উন্মুক্ত হস্তে অধিকতর দাতা হয়ে যেতেন।’

হজরত আনাস (রা.) আরও বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)কে জিজ্ঞেস করা হলো, সবচেয়ে উত্তম সদকাহ কী? তিনি বললেন, ‘রমজান মাসের সদকা।’ হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসূলুল্লাহ (সা.) পবিত্র রমজান মাসে বিপুল পরিমাণে দান করতেন। (সুনানে তিরমিজি-২৩৫১)।

হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘নবি করিম (সা.)-এর চেয়ে বেশি দানশীল আমি আর কাউকে দেখিনি।’ (সহিহ মুসলিম-১৮৪২)।

দানশীলতা সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আছে-‘আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘হে আদম সন্তান, তুমি দান করতে থাকো, আমিও তোমাকে দান করব।’ (সহিহ বুখারি-১৬৩১)। আমরা স্বভাবতই কমবেশি দান করে থাকি। কখনো দানের জন্য একটি মোক্ষম সময়ও আমরা অনুসন্ধান করি। সেই সেরা সময়টি হলো রমজান।

রমজানের পবিত্র আবহে দানের বিষয়টি সম্পূর্ণই আলাদা। এর তাৎপর্য নিঃসন্দেহে অন্য মাসের চেয়ে অনেক বেশি। তাই প্রিয় নবিজি (সা.) এ মাসে বেশি দান করতেন এবং দানে উৎসাহিত করতেন।

আমাদের সমাজে এমন অনেক অসহায়-নিঃস্ব মানুষ আছেন, যারা সেহরি ও ইফতারে সামান্য খাবার জোগাড় করতেও হিমশিম খান। বছরের অন্য সময় কোনোভাবে চলে গেলেও বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তারা আরও দুর্ভোগ ও দুর্দশায় আছেন। অনেক মানুষ লজ্জায় মানুষের কাছে চাইতেও পারে না।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি তোমাদের যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় করো। অন্যথায় বলবে, হে আমার রব, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলেন না কেন? তাহলে আমি দান-সদকা করতাম এবং ভালো লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’ (সূরা মুনাফিকুন-১০)।

তাই বছরের অন্য মাসগুলোর তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সদকা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। নবিজির দুয়ারে এসে কেউ খালি হাতে ফিরে যেত না।

মহানবি (সা.) এ মাসকে ‘শাহরুল মুওয়াসাত’ বা সহমর্মিতার মাস নামে অবিহিত করেছেন। যে লোক শুধু প্রথাগত উপবাস করে। মাহে রমজানেও যে দানশীলতা ও বদান্যতার মাধ্যমে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির চর্চা করে না, তার উপবাসকে প্রকৃত পক্ষে সিয়াম সাধনা বলা যায় না।

মাহে রমজানে উপবাসের সঙ্গে মানবতার সেবায় সাধ্যমতো দান-সদকা করা হলো প্রকৃত সিয়াম সাধনা। আল্লাহতায়ালাই একমাত্র তাওফিকদাতা।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৩
Design & Developed BY Cloud Service BD