শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : টঙ্গীতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আখেরি মোনাজাত সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শেষ হয় ৯টা ২২ মিনিটে।
রোববার ভোর থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে দলে দলে ইজতেমা অভিমুখে আসছেন মুসল্লিরা। কাকরাইল মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা যোবায়ের মোনাজাত পরিচালনা করেন।
শনিবার রাত থেকে মুসল্লিগণ বাস, ট্রাক, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, ট্রেন ও ট্রলারে করে টঙ্গীতে আসতে শুরু করেছেন। রোববার ভোর থেকে ঢাকা, টঙ্গী-ও গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে মোনাজাতে শরিক হতে হাজার হাজার নারী-পুরুষকে পায়ে হেটে ইজতেমার মায়দানের দিকে আসতে দেখা গেছে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল থাকে।
ইজতেমা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য শত শত নারী আশপাশের মিল-কারখানা ও বাসাবাড়ির ভেতর অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। নারীদের জন্য আলাদা কোনো জায়গার ব্যবস্থা না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে নিজ উদ্যোগে পর্দায় ঘেরা বিভিন্ন স্থানে বসার জায়গা করে নিচ্ছেন। বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের তাশকিল কামরার পাশে প্রতিবন্ধীদের ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় দুই শতাধিক প্রতিবন্ধী বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
মিলগেট এলাকায় গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে আসা মোশারফ হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৬টায় মোনাজাতে অংশগ্রহণের জন্য ইজতেমার মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত বাসে আসছি। তারপর পায়ে হেঁটে মিলগেট পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
টঙ্গী বাজার এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টায় মমিনুল হক বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসছি মোনাজাত ধরার জন্য। ভোর ৫টায় বাসা থেকে রওনা দিয়ে এখানে এসে বসে আছি। মোনাজাত শেষ করে বাসায় ফিরে যাব।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মাহাবুব আলম বলেন, ‘শনিবার রাত ১২টা থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও গাজীপুরগামী যানবাহনগুলোকে গাবতলী দিয়ে কোনাবাড়ী হয়ে এবং ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোকে ভোগড়া বাইপাস দিয়ে ৩০০ ফিট রাস্তা ব্যবহার করে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এ সময় এসব সড়ক হয়ে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি বা যান চলতে দেওয়া হবে না।’
৭২টি দেশ থেকে এবারের ইজতেমায় বিদেশি মেহমান এসেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিস্তান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্ডান ও যুক্তরাজ্য অন্যতম।
৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। ওই পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা।