রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন
বিডি সিলেট ডেস্ক:: ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ সাল। বাঙালির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য ঐতিহাসিক দিন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফিরে আসার দিন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ১০ জানুয়ারি,২০২৪ বুধবার, সকাল ১১ টায় সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সকাল ১১:৩০ টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আশফাক আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সৈয়দা জেবুন্নেছা হক। সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দা জেবুন্নেছা হক বলেন: পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা বাঙালির সব আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন জাতির অবিসংবাদিত নেতা এবং ভুষিত হন বঙ্গবন্ধু উপাধিতে।
২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালাতে শুরু করে। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরপরই বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শুরু হয় বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলতে থাকে। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রেখে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। শুধু নির্যাতন নয়, ফাঁসির মঞ্চেও নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ও তার অদম্য সাহসের কাছে শেষ পর্যন্ত হারমানে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনী। ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফিরে আসেন বীরের বেশে।
জাতির পিতা আজ আমাদের মাঝে নেই। আমাদের মাঝে রয়েছে জাতির পিতার রেখে যাওয়া সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন: জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস।
শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহফুজুর রহমান, সাইফুল আলম রুহেল, দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো: মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এডভোকেট খোকন কুমার দত্ত, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখলাকুর রহমান চৌধুরী সেলিম, এডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মোঃ আব্দুল বারী, আবু হেনা মোঃ ফিরোজ আলী, গোলাপ মিয়া, ডাঃ নাজরা আহমদ চৌধুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক এজাজ প্রমুখ।