শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিলেট বিভাগের যুব সংগঠক,আত্মকর্মী ও বাংলাদেশ প্রেমী সৃষ্টিশীল যুবদের সমন্বয়ে এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক যুব সংগঠন সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) এবং বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবি উপস্থাপনের বলিষ্ঠ সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস) এর যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতিমুক্ত করা এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিলেট জেলা হাসপাতালের সম্মুখের দোকান ও ডানপাশে অবস্থিত বৃক্ষ নার্সারী অপসারণের দাবিতে আলাদাভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বরাবরে (মাধ্যমঃ জেলা প্রশাসক, সিলেট) স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত, দক্ষ, কর্মমূখী, গতিশীল যুব সমাজের স্বপ্নদ্রষ্টা ও ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচীর উদ্ভাবক সিলেট বিভাগের সামাজিক যুব কার্যক্রমের কর্ণধার সংগঠন গুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী ও শাহীন আহমেদ স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ (সিকস দঃ ০৫/২০২৩) সিলেট বিভাগে চিকিৎসাক্ষেত্রে একমাত্র ভরসার নাম সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। পুরো দেশজুড়ে সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই চিকিৎসা কেন্দ্রটির সুনাম ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখন পুরো ভিন্ন পথে চলছে দেশের অন্যতম ও সিলেট বিভাগের সর্বসাধারণের একমাত্র ভরসার চিকিৎসাকেন্দ্র সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সর্বস্তরের নাগরিকদের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার নামে চলছে রমরমা ব্যবসা। অসহায় ও সর্বসাধারণ রোগীদের সরকারীভাবে চিকিৎসাসেবা সহ ফ্রি ঔষধ পাওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে তা পাচ্ছেন না। ওসমানী হাসপাতালের পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থাকে ব্যবসায় পরিণত করা হয়েছে। সর্বাবস্থার সর্বস্তরের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া আর কেউই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও কেবিনে সিট খালি থাকার পরও রোগীদের নিচে রাখা হচ্ছে। রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের মারাত্মক অবহেলা, অসহায় রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ওসমানী হাসপাতালের ল্যাবে না করে ডাক্তারদের নির্দেশমত বাহির থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আনার জন্য পাঠানো হয়, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। পাশাপাশি গেইটে আনসার-দারোয়ানদের অনাকাঙ্খিত চাঁদা আদায় বাণিজ্য, অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য সরকারীভাবে বিতরণের ঔষধ না দিয়ে বাহির থেকে ক্রয় করতে বাধ্য করা, যথাসময়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক না পাওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগীদের মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ওসমানী হাসপাতালে দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে ঢুকানোর পরপরই ভেতর থেকে শুধু অপারেশন সম্পৃক্ত ঔষধ ¯িøপ একের পর এক আসতেই থাকে। রোগীর স্বজনরা বাধ্য হয়ে অপ্রয়োজনীয় ঔষধ ক্রয় করে আনতে হোন। যা পরিমাণে খুবই ব্যয়বহুল। আমরা সিলেটবাসী বড় অসহায় হয়ে চিকিৎসাসেবার কাছে জিম্মি হয়ে আছি। সিলেট বিভাগের প্রায় ২ কোটি মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসাস্থল ওসমানী হাসপাতাল। চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করতে হাসপাতাল থেকে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতিমুক্ত করতে আপনার সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে আমরা সিলেটবাসী আশা করছি।
স্মারকলিপির বিষয়বস্তুঃ (সিকস দঃ ০৬/২০২৩) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসা সেবায় বৃহত্তর সিলেটের জনসাধারনের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিলেট জেলা হাসপাতাল নির্মানের অনুমোদন দিয়েছেন ও দ্রæত গতিতে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেটের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার জন্য সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আপনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। বিভাগীয় শহরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিলেট জেলা হাসপাতাল সরকারী চিকিৎসা সেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু নির্মানাধীন হাসপাতালের সম্মুখে একটি দোকান ও ডান পাশে বৃক্ষ নার্সারী অবস্থিত। কে বা কারা নির্মানাধীন হাসপাতালের সামনে ঐ দোকান ও নার্সারী বসানোর ব্যবস্থা করেছে তা কারোই জানা নেই। অনতিবিলম্বে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিলেট জেলা হাসপাতালের সম্মুখের দোকান ও ডানপাশে অবস্থিত বৃক্ষ নার্সারী অপসারণের জোর দাবি জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেওয়া সিলেটবাসীর জন্য ঐ হাসপাতালকে আমরা সম্পূর্ণরূপে পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত দেখতে চাই। পাশাপাশি ঐ হাসপাতালে কোনো প্রাইভেট ফার্মেসী ও ক্যান্টিন বরাদ্ধ না দেওয়া জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। সিলেট বিভাগের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার আরেকটি ভরসাস্থল হবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সিলেট জেলা হাসপাতাল। চিকিৎসা সেবার মান উন্নত করতে হাসপাতালের শুরু থেকে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্য আপনার সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে আমরা সিলেটবাসী আশা করছি।