মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম ::
গোলাপগঞ্জে আব্দুল মুতলিব কমপ্লেক্স’র উদ্বোধন যুদ্ধে যেতে চায় না ইউক্রেনের নারী-পুরুষরা সিলেট সিটির প্যানেল মেয়র কামরান-লিপন-শানু সিঙ্গাপুরের জালে বাংলাদেশের ৮ গোল নির্বাচনের আগে একযোগে ৪৭ ইউএনও বদলি কম্পিউটার সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিলেটে দুই মাদক কারবারীসহ গ্রেফতার ৪ কেমুসাস বইমেলায় ৩য় দিনে বেড়েছে দর্শণার্থী মাধবপুরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার যাদুকাটা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবে দুই শ্রমিক নিহত আনোয়ারুজ্জামানের সাথে চীনের রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময় ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল কাল, পরশুর অবরোধ সফলে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মশাল মিছিল রেড ক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষনা গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা




পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, নারী নি-হ-ত

image 737885 1699427387 - BD Sylhet News




বিডিসিলেট ডেস্ক : সরকারঘোষিত ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুরে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে আরেক শ্রমিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানান, সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি ও জরুনসহ আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বুধবার সকালে বিক্ষোভে নামেন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে এই সংঘর্ষে জড়ায়।

নিহত মোসা. আঞ্জুয়ারা খাতুন (২৪) কোনাবাড়ির ইসলাম গার্মেন্টসের সেলাই মেশিন অপারেটর। জামাল উদ্দিন (৪২) নামে আরও একজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, কোনাবাড়ি থেকে আহত দুইজনকে হাসপাতালে আনা হলে বেলা সাড়ে বারোটায় আনজুয়ারা বেগমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ জামাল উদ্দিনের চিকিৎসা চলছে।

নিহতের ননদ আরজিনা বেগম জানান, আনজুয়ারা বেগম তার ভাই সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার চড়গ্রিস গ্রামের গার্মেন্টেস শ্রমিক জামাল বাদশার স্ত্রী। তারা জরুন এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জামাল উদ্দিন জানান, তিনি ইসলাম গার্মেন্টসের সুপারভাইজার। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন।

পরে প্রথমে উদ্ধার করে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান এই পোশাক শ্রমিক।

পুলিশ, শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন।

এর মধ্যে মঙ্গলবার পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রস্তাব করে মজুরি বোর্ড। পরে মজুরি বোর্ড ঘোষিত বেতন প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল ৭টার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা।

কোনাবাড়ি এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, রিপন নিটওয়্যার লিমিটেড, ইসলাম গার্মেন্টস ও বেস্টঅল সোয়েটারসহ আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

সকাল ৮টার দিকে কয়েকশ শ্রমিক কাশিমপুরের জরুন মোড়ের সামনে একত্রিত হয়ে হাতে ইট এবং লাঠিসোটা নিয়ে মিছিল করতে থাকে। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে কাঠ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে রওশন মার্কেটের হয়ে হাতিমারার দিকে এগিয়ে যায়।

পুলিশের হামলায় তাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান শ্রমিকরা।

গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, “শ্রমিকদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হলেও শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিয়ারশেল ছুড়লে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।”

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, “বুধবার সকাল থেকেই শ্রমিকরা আন্দোলন করে। আমরা তাদের ঘোষণা দিয়েছিলাম আপনারা নিজেদের জায়গায় থাকেন, আপনাদের ফ্যাক্টরিতে ঢোকেন, কাজ পছন্দ না হলে কাজ বন্ধ রাখেন কিন্তু অন্য কোনো কারখানায় ভাঙচুর করতে যাবেন না। অন্য কোনো কারখানার শ্রমিকদের নামাতে যাবেন না।

“কিন্তু তারা আমাদের নির্দেশনা না শুনে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নামানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজে নারীর মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, “সংঘর্ষের সময় ওই নারী হয়তো সড়কে ছোটাছুটি করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। তিনিসহ দুই জনকে আমরা উন্নত চিৎকসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছি। হয়ত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৩
Design & Developed BY Cloud Service BD