শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম ::
সিলেট ওসমানী হাসপাতাল এলাকা থেকে বৃদ্ধ “নি খোঁ জ” বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের শনিবার সিলেটে ১০০ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না! বেকারত্বে ভেঙে পড়ছে বিপ্লবী ছাত্রদের স্বপ্ন উপদেষ্টারা কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়ে করবে: আসিফ মাহমুদ যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত বৈদ্যুতিক বাইক উন্মোচন খালি পেটে গাজরের রস খাওয়ার উপকারিতা হবিগঞ্জে দেখা মিলেছে ভালুক, জনসাধারণ চলাচলে সতর্কতা জারি শাল্লায় রাস্তার কাজে লাখো মানুষের আনন্দের জোয়ার লিবিয়ায় ৪৫ লাখেও বাঁচানো গেল না রাকিবের প্রাণ উত্তম রিজিকের জন্য দোয়া ও করণীয় স্বামীকে নিয়ে তনির আবেগঘন স্ট্যাটাস বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে খুলনার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিলেট




বিএনপি এখন কোথায়, লাফালাফি কই গেল: কাদের

07 11 23 obaidul kader 4 1699368271 - BD Sylhet News




বিডিসিলেট ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনিপর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাতের খাবার খেতে খেতে ফাঁসির আদেশ দিতেন জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরিরা আজ কোথায়? তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্র করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে চেপে বসেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেই বিএনপি এখন কোথায়? লাফালাফি কই গেল? বাড়াবাড়ি কই গেল? আজ আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, ৭ নভেম্বর কার দিন? বিএনপির… কী দিবস? জাতীয় দিবস? জাতীয় দিবসের কর্মসূচিও স্থগিত করে দেয় এ দল। তাদের মতো ভীরু-কাপুরুষ…, তাদের তো রাজনীতি করা শোভা পায় না।’

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলছি? তাদের দিন, তাদের জাতীয় দিবস, তাদের বিপ্লব ও সংহতি দিবস। তারা তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতেও সাহস পায় না। এ কাপুরুষদের রাজনীতি করা কি মানায়? তাদের আন্দোলন করার সাহস তো এখানেই বুঝা গেল! ২৮ তারিখ (অক্টোবর) চলে গেল। আ-হা-রে কত স্বপ্ন, আমীর খসরু ২৮ তারিখে কর্ণফুলীতে ফেলে দেবেন, সেই ২৮ তারিখেই শেখ হাসিনা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে যাওয়া টানেল উদ্বোধন করেছেন। এখন কোথায়? সব পালিয়েছে। নয়াপল্টনে দাঁড়িয়ে তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি পালাচ্ছে, শেখ হাসিনা পালাচ্ছে। শেখ হাসিনা এখন সৌদি আরবে হজ করছেন। আপনারা কে, কোথায়? কেন আজ কারাগারে? যারা কারাগারে, তারা দায় অস্বীকার করতে পারবেন না।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে মারামারি বাধিয়ে, একজন পুলিশকে নির্মমভাবে হত্যা করে, পুলিশের ওপর হামলা করে…, সেই সময় মির্জা ফখরুল ভাবলেন, আরে ঘটনা তো খারাপ। তখনই মির্জা ফখরুল সাহেব লাফ দিয়ে নিচে নেমে গেলেন। এদিকে তাকান, ওদিকে তাকান; গয়েশ্বর বাবু নাই। ওদিকে তাকান, আমীর খসরু নাই। গেটের ভেতর যত নেতা, নোমান সাহেবও নাই। বেচারা দিশেহারা হয়ে দৌড় যে দিছে, ডেমরার সালাউদ্দিনের দৌড়ের চেয়েও দ্রুত। হ্যান্ড মাইকে কর্মসূচি ঘোষণা করলেন, তখন পুরো স্টেজ ফাঁকা। ২৮ তারিখ (অক্টোবর) শেখ হাসিনার পতন দেখলেন, আর আপনাদের স্টেজেরই পতন হয়ে গেল। খবর নাই, পালায় অলিগলিতে, ঢাকা শহরের কোনো গলি দিয়ে ঢোকা যায় না, তারা যেভাবে পালাচ্ছে। এখানে পালায়, ওখানে পালায়, যার ঘরে গিয়ে পালায় সে বলে আমি তো আওয়ামী লীগ করি। এ রকম ঘটনা অনেক ঘটেছে।’

একটি বাস পোড়াতে পারলে তিন হাজার টাকা করে দেওয়া হবে— বিএনপির এমন ঘোষণার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আগুন দিয়ে ফোন দিলেই মোবাইলে তিন হাজার টাকা চলে যাবে। এখন আবার সেটা ডাবল হয়েছে। কারণ, বেশকিছু গাড়ি পুড়িয়েছে আবার ধরাও পড়েছে। প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করতে তাদের নেতারাই শিখিয়ে দিয়েছে।’

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে— জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি নিজেই বলেছেন যে, আমি খেয়াল রাখব। অপরাধী ছাড়া কোনো নিরীহ লোক যাতে ধরা না পড়ে। এতে বদনাম হয়। এ বদনাম আমরা ঘাড়ে নেব কেন? অপরাধী যারা তাদের শায়েস্তা করতে হবে।’

কোন ইউনিয়ন, কোন দেশ বিবৃতি দিল তাতে কিছু আসে যায় না— উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার দেশের আইনে, আমার দেশের অপরাধীকে আমি বিচার করতে পারব না, এটা কোন গণতন্ত্র? কোথা থেকে এল এ আদেশ? আমার দেশের অপরাধী, আমার দেশের খুনি অথচ বিচার করতে পারব না, তাকে জেলে পাঠাতে পারব না…। আদালত আছে, সে নিরাপদ হলে আদালত থেকে মুক্তি নেবে। আমাদের স্বাধীন বিচারব্যবস্থা আছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৭ নভেম্বর তোমাদের নম্বর ওয়ান জাতীয় দিবস। এটা হলো তোমাদের উত্থান দিবস। সেই দিবস পালন করতে যাদের এত ভয়, তারা নাকি আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করবে? তারা (বিএনপি) নিজেরাই যথেষ্ট নিজেদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য। এখানে আওয়ামী লীগকে লাগবে না। কর্মসূচি কোথায় তাদের? কাল রাত্রে আবাসিক প্রতিনিধি ঘোষণা দিল যে, কর্মসূচি হবে না। এটাও বলল, জিয়াউর রহমানের মাজারে যাওয়া হবে না। এ দলের কী করা উচিত? আওয়ামী লীগের এখনও ভয় দেখানোর সময় আসে নাই, সবে শুরু হয়েছে। আমারও তো শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছি। এতেই ৭ নভেম্বর বন্ধ হয়ে গেছে। ঢাকা শহরে কয়েকটা মিছিল হচ্ছে দেখে ভয়ে নিজেদের কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছেন। এরা কোন দল? এরা আন্দোলন করতে পারবে? এদের আন্দোলন ভুয়া। শেখ হাসিনাকে হটাতে গেলে আপনারাই হটে যাবেন।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৪
Design & Developed BY Cloud Service BD