রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ২৩ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামের নুনু মিয়া ও হুমায়ূন আজাদের লোকদের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাড়ইল গ্রামের নুনু মিয়া ও হুমায়ূনের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে দু’পক্ষ একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে; এসব ঘটনায় মামলাও চলছে। দুপক্ষের দ্বন্দ্ব মেটাতে একাধিবার সালিশ বৈঠকসহ পুলিশ উদ্যোগও কাজে আসেনি। কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসনও দুপক্ষকে নিয়ে আপসের চেষ্টা করে; কিন্তু লাভ হয়নি।
কুলঞ্জ ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়াতে পারে এমন ধারণা তারা আগের দিনই করতে পেয়েছিলেন।
আহতরা হলেন, রাড়ইল গ্রামের ইমতাজ মিয়ার ছেলে নুনু মিয়া (৬৫), আনু মিয়ার ছেলে অমিত হাসান (১৬), আনফর মিয়ার ছেলে আবুল কালাম চৌধুরী (৬৪), লাল মিয়ার ছেলে মুরশাদ (২৮) ও ফরসাদ মিয়া (২২), মজুমদার চৌধুরীর ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫), আব্দুল হেকিমের ছেলে মনু মিয়া (৪০) ও রাজিব মিয়া (২৫), হেফাজুর মিয়ার ছেলে তানভীর মিয়া (২১), সুলতান মিয়ার ছেলে মাহিদ মিয়া (১৯) ও সুজন মিয়া (৩২), গৌছ মিয়ার ছেলে অলিউর রহমান (৩০), শওকত মিয়ার ছেলে রাবেল মিয়া (২৫), নুনু মিয়া চৌধুরীর ছেলে তানিম আহমদ চৌধুরী (২২) ও তাজিম আহমদ চৌধুরী (২১), মদরিছ মিয়ার ছেলে গৌছ মিয়া (৭০), আব্দুল হেকিম মিয়ার ছেলে নানু মিয়া (৩৭), নূরুল ইসলামের ছেলে সাজ্জুল মিয়া (৪২), রেজা চৌধুরী (১৭), মুহিবুর রহমান (২২), হুমায়ুন আহমদ (৬০), বশির মিয়ার ছেলে বদরুল মিয়া চৌধুরী (২৭) ও শালিস ব্যক্তি টংগর গ্রামের মারফত আলীর ছেলে আব্দুন নূর মিয়া (৫২) আহত হন।
গুরুতর আহতদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।