মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম ::
গোলাপগঞ্জে আব্দুল মুতলিব কমপ্লেক্স’র উদ্বোধন যুদ্ধে যেতে চায় না ইউক্রেনের নারী-পুরুষরা সিলেট সিটির প্যানেল মেয়র কামরান-লিপন-শানু সিঙ্গাপুরের জালে বাংলাদেশের ৮ গোল নির্বাচনের আগে একযোগে ৪৭ ইউএনও বদলি কম্পিউটার সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত সিলেটে দুই মাদক কারবারীসহ গ্রেফতার ৪ কেমুসাস বইমেলায় ৩য় দিনে বেড়েছে দর্শণার্থী মাধবপুরে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার যাদুকাটা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবে দুই শ্রমিক নিহত আনোয়ারুজ্জামানের সাথে চীনের রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময় ইসির সঙ্গে বৈঠকে ইইউ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল কাল, পরশুর অবরোধ সফলে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মশাল মিছিল রেড ক্রিসেন্ট সিলেট ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষনা গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) মেধাবৃত্তি পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা




পর্যটন স্পটে পরিণত হচ্ছে তাহিরপুরের নীলাদ্রি লেক

dtimes 1634195225 - BD Sylhet News




বিডিসিলেট ডেস্ক : স্বকীয়তা হারিয়ে সময়ের সঙ্গে জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে তাহিরপুরের ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পের পরিত্যক্ত পাথর কোয়ারি, যা পর্যটকদের মাঝে শহীদ সিরাজ লেক বা নীলাদ্রি লেক নামেই এখন বেশি পরিচিত।

নীলাদ্রি লেকের অবস্থান ভারতের মেঘালয় সীমান্তবর্তী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ট্যাকেরঘাটে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় জমান এ লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। ১৯৪০ সালে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলায় নির্মাণ করা হয় আসাম বাংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি । ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে চুনাপাথর সংগ্রহ করে এর চাহিদা মেটানো হতো। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের নানা সমস্যা ও ব্যয় বাড়ার কারণে ভারত থেকে পাথর আনা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬০ সালে তাহিরপুরের ট্যাকেরঘাটে ৩২৭ একর জমির ওপর জরিপ চালিয়ে চুনাপাথরের সন্ধান পায় বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। ১৯৬৬ সালে খনিজ প্রকল্পটি চালু করা হয়। ১৯৯৬ সালে প্রকল্পটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ২০০০ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে এই এলাকাটি খ্যাতি অর্জন শুরু করে পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে।

ভ্রমণপিপাসুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ লেকটিকে বিভিন্ন নামে উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পায় নীলাদ্রি লেক নামটি। এভাবেই দিন দিন স্বকীয়তা হারিয়ে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের পরিত্যক্ত পাথর কোয়ারি দেশের অধিকাংশ ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। শ্রীপুর গ্রামের হাওরতরী পরিবহনের স্বত্বাধিকারী কলিন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে টাঙ্গুয়া হাওরে পর্যটকদের মাঝি ও গাইড হিসেবে কাজ করছেন তিনি। প্রথম দিকে পর্যটকরা এসে যখন নীলাদ্রি লেকের কথা জানতে চাইতো তখন কিছু বলতে পারতেন না। ধীরে ধীরে সেই নামের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় মোটরসাইকেলচালক আজহারুল ইসলাম জানান, প্রথম প্রথম পর্যটকরা তাহিরপুর এসে যখন নীলাদ্রি লেক যাওয়ার কথা বলত তখন মোটরসাইকেল লকরা কিছুই বুঝত না। এখন সবাই নীলাদ্রি লেক বললে ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্পের পাথর কোয়ারিকে চিনতে পারে।

এ লেকটির নাম নীলাদ্রি কবে, কে, কখন দিয়েছে তা বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। তবে অনলাইনভিত্তিক ট্রাভেল গ্রুপ বিন্দাস এর অ্যাডমিন রেদওয়ান খান দাবি করেন তিনিই ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম এ লেকটির নাম নীলাদ্রি দিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। পরবর্তী সময়ে একাধিক পত্রিকায় নীলাদ্রি লেক হিসেবে সংবাদটি ছাপা হওয়ায় লেকটি নীলাদ্রি পরিচিতি পায়। বাংলাদেশ ট্রাভেলার্স অ্যাডমিন জুনাইদ আদনান জানান, ট্যাকেরঘাট খনিজ প্রকল্পের পাথর কোয়ারিটি নীলাদ্রি লেক হিসেবে ভ্রমণপিপাসুদের কাছে পরিচিত। ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্প উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে লালমনিরহাটে কর্মরত খাদ্য পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম টিফিন জানান, বাবার চাকরির সূত্রে তিনি ২০ বছরের মতো সময় পার করেছেন ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনিজ প্রকল্প এলাকায়। তিনি এ লেকটিকে চিনতেন পাথর কোয়ারি হিসেবে। ইউএনও সুপ্রভাত চাকমা জানান, শুধু পর্যটকরাই এ লেকটিকে নীলাদ্রি নামে চেনেন।

শেয়ার করুন...











বিডি সিলেট নিউজ মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। © ২০২৩
Design & Developed BY Cloud Service BD