BD SYLHET NEWS
সিলেটমঙ্গলবার, ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১২:২৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নিউজার্সিতে সৃষ্টি একাডেমির সাংস্কৃতিক উৎসবে ‘ধিম-তা- না’


অক্টোবর ১৮, ২০২৩ ৯:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিনোদন ডেস্ক : নিউ জার্সি’র একমাত্র বাংলাদেশি নৃত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘সৃষ্টি একাডেমী অফ পারফর্মিং আর্টস’ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো সাংস্কৃতি উৎসব ২০২৩, ‘ধিম-তা- না’। ৭ অক্টোবর শনিবার আনন্দঘন পরিবেশে ‘এডওয়ার্ড নাশ থিয়েটার’ এ সৃষ্টি একাডেমির শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, মেরিল্যান্ড, এবং পেনসিলভানিয়া থেকে আগত কমুনিটির সদস্যদের একের পর এক নৃত্য, সঙ্গীত, যন্ত্রসংগীত, এবং রম্য নাটক দর্শকদের হৃদয় জয় করে নেয়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন সৃষ্টি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা এবং নৃত্যশিল্পী ড. সুবর্ণা খান, সহযোগিতায় ছিলেন শামসুল সাদি ও আফজাল খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাহিন ও নামিরা, ডিজিটাল ব্যাকড্রপ নির্মান ও পরিচালনায় এরহান, শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন শোভন, আলোক নিয়ন্ত্রণে সাদি এবং মঞ্চ সহযোগিতায় ছিলেন রীমা, সোমা, ও মালিহা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্যাটার্সন নগরের কাউন্সিল অ্যাট লার্জ ফরিদ উদ্দিন। তিনি তাঁর বক্তব্যে নতুন প্রজন্মকে তাদের পিতৃপুরুষের ঐতিহ্য, সমৃদ্ধ বাংলা সংস্কৃতির সাথে সংযুক্ত করবার জন্য সৃষ্টি একাডেমী’র নিরলস প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান এবং এধরনের আরো আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাক্ত করেন।

সৃষ্টি একাডেমির শিক্ষক সুবর্ণা, বিচিত্রা, তমা, ও অহনার নৃত্য পরিচালনায় শাস্ত্রীয় এবং আধুনিক নৃত্যশৈলীর সমন্বয়ে পরিবেশিত হয় বিভিন্ন নৃত্য। স্কটিশ সুরের প্রভাবে রচিত রবীন্দ্রসংগীত এর উপর বিশেষ নৃত্যালেখ্য ‘আলোয় ভুবন ভরা’ দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে।

ফারহানা আখতার তুলি’র পরিচালনায় শিশুকিশোরদের সম্মিলিত সংগীত পরিবেশনা দর্শকদের অভিভূত করে। নিউ জার্সির বাংলা ব্যান্ড ‘জার্সি ওয়েভ’ এর সদস্য সাদি, আফজাল, এবং তাহসিনের জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীত পরিবেশনা দর্শকদের মাতিয়ে তোলে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ড. জাভেদ মাহমুদ শিপলু’র রচনা ও পরিচালনায় রম্য নাটিকা ‘কেরামত মিয়ার কেরামতি’ যা দর্শকদের বিপুল আনন্দ প্রদান করে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি সৃষ্টি একাডেমির এবারের নতুন উদ্যোগ ছিল শিশুকিশোরদের চিত্রকলা প্রদর্শনী।

জাহিদ ও সোহেলের পরিচালনায় এই প্রদর্শনী সকলের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। দর্শকরা এরকম সু-সংগঠিত, সুন্দর, ও সাবলীল অনুষ্ঠান আরো দেখতে চান বলে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

ড. সুবর্ণা খান বলেন, করোনা মহামারীতে আমরা অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছি, তাই এর পরবর্তী সময়ে সকল যন্ত্রণাবোধকে পিছনে ফেলে কমুনিটির সবাইকে নিয়ে একটি আনন্দযজ্ঞ করাই ছিল সৃষ্টি একাডেমির লক্ষ্য।

সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি একজন সম্পূর্ণ মানুষ গড়বার প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দেন তিনি এবং সেজন্যেই ‘আধুনিকা’ এবং ‘আগামী’র মতো সামাজিক কল্যানমুলক সংগঠনকে তিনি অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত করেছেন এবং একই সাথে ‘বাংলাবলো অনলাইন স্কুল’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সকলে মিলে নতুন প্রজন্মকে তাদের ঐতিহ্যর সাথে সম্মিলিত করবার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যাক্ত করে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।