সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
বিডিসিলেট ডটকম : সিলেটের বিয়ানীবাজারে জালাল উদ্দিন নামে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মেয়ের দায়ের করা মামলার পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশে দাফনের প্রায় দুই মাস পর উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে জালাল উদ্দিনের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান, ওসি দেবদুলাল ধর ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়ে জোবায়দা জালাল আপন চাচা সুনাম উদ্দিনসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জালাল উদ্দিন ২০১৯ সাল থেকে দেশে অবস্থান করছিলেন। এ সময়ে তিনি নিজের সম্পত্তি দেখাশোনা করতেন। চলতি বছরের ১৯ আগস্ট জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে জালাল উদ্দিনকে মারধর করে তাঁর ভাই সুনাম উদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার দিন বিকেলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সন্তানরা বিদেশে থাকায় পুলিশকে না জানিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পর দিন ২০ আগস্ট জানাজা শেষে জালাল উদ্দিনের লাশ দাফন করা হয়। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেন নিহতের মেয়ে জোবায়দা জালাল। মামলায় চাচা সুনাম উদ্দিন, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া বেগম, পালিত কন্যা মান্না বেগম ও একই এলাকার পাথারিপাড়া গ্রামের আব্দুল হাছিবকে আসামি করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর রশিদ জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছেন জালাল উদ্দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ জানান, বিষয়টি নিয়ে সবাই অন্ধকারে।
মামলার বাদী জোবায়দা জালাল জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবার মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন চাচা সুনাম উদ্দিন। পরে স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুনাম উদ্দিন জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। তবে মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি।