শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২১ অপরাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : সংবিধান মেনে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কেউ যদি সে নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। একটা-দুইটা দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচনের ক্ষতি নেই। নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।’
বুধবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বনানীতে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বনানীতে শেখ রাসেলের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি ১৫ আগস্টে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ৬০তম জন্মবার্ষিকী।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২১ সাল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তৃতীয়বারের মতো ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালনের প্রতিপাদ্য ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের বিএনপির হত্যার রাজনীতি এখনও শেষ হয়নি। সেই হত্যার রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে নির্মূল করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই অব্যাহত আছে। শেখ রাসেলের মতো শিশুদের জন্য দেশকে সম্পূর্ণ নিরাপদ করে না তোলা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেফতার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন করে গ্রেফতারের কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই।’
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে, সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয়, সেটার জন্য সে নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহু দল আছে, যারা নির্বাচনে অংশ নেবে। দু-একটা দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে, সেটা তাদের ব্যাপার।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘’৭৫-এ খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, ৩ নভেম্বর জেলহত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা—এই সমুদয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল, সে ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে তাদের উত্তরসূরিরা এখনও সরে দাঁড়ায়নি।’