সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলোতে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। চাল, ডাল, সবজি থেকে শুরু করে সবকিছুতেই নাজেহাল হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
স্থানীয় ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বাজার পরিস্থিতি। যে যেমন পারছে, ক্রেতাদের পকেট থেকে টাকা বের করে নিচ্ছে। নিত্যপণ্যের চাহিদা আবশ্যক। তাই বাধ্য হয়েই এই নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে তাদের। একাধিক ক্রেতার অভিযোগ, প্রায় ৫ মাসে ধরে বন্ধ রয়েছে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম। এ ব্যাপারে প্রশাসনে কোনো পদক্ষেপও দৃশ্যমান নয়। যার কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বাজার সিন্ডিকেট।
এসব পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার ফেঞ্চুগঞ্জ, মাইজগাঁও, সার কারখানা, পালবাড়ী, ফরিদপুর নয়াবাজার ও কটালপুর বাজার ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাত্র মাস দু-একের ব্যবধানে প্রতি বস্তা আতপ চাল ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকা দরে। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ টাকায়। প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে খুচরা বাজারে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, রসুন ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪০, মসুর ডাল ১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১২৫, ডাল ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা হয়েছে। চিনি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটো, বেগুন, ঝিঙা, কাঁকরোল, করলা, ঢ্যাঁড়শ, কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত।
দিনমজুর লিয়াকত আলী জানান, আয়-রোজগার কমে গেছে। কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার করতে গেলে জিনিসের দাম শুনে মাথা ঠিক থাকে না।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী কদর মিয়া জানান, সিলেট থেকে বেশি দামে পণ্য এনে স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। পাইকারি ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ সাহা জানান, শ্রীমঙ্গল থেকে পণ্য আনেন তারা। সেখান থেকে ধরে দেওয়া দামেই পণ্য বিক্রি করতে হয়।
বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে না– ভোক্তাদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফেঞ্চুগঞ্জের ইউএনও ফারজানা প্রিয়াংকা জানান, নিয়মিত বাজার মনিটর করা হচ্ছে। অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভোক্তাদের অভিযোগ পেলেও পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা।