বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইটালি আসা অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা এক লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে৷ এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে এসেছেন এসব অভিবাসীরা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, এই সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ৷
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই লিবিয়া ও টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ভাগ্য বদলের আশায় বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে আসেন বলেও উল্লেখ করেছে ফ্রন্টেক্স৷
সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে অনিয়মিতভাবে আসা অভিবাসীদের হিসাব করে দেখা গেছে এক লাখ ১৪ হাজার ২৫৬ জন সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে এসেছেন৷ অভিবাসীদের বেশিরভাগই আইভরি কোস্ট, মিশর ও গিনির নাগরিক বলেও জানিয়েছে তারা৷
ফ্রন্টেক্স জানিয়েছে, ‘‘মানবপাচারে জড়িত চক্রগুলো নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে বেশি মুনাফার আশায় লিবিয়া ও টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগের তুলনায় কম খরচে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে৷ ফলে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে গেছে৷ আগামী কয়েক মাসও এই চাপ অব্যাহত থাকতে পারে৷’’
এদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গিয়ে অন্তত দুই হাজার ৩২৫ জন মানুষ মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন৷
ইটালি সরকার জানিয়েছে, চলতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে এক লাখ ২৬ হাজার অভিবাসী এসেছেন৷ গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যাটি ছিল ৬৬ হাজার৷
ইটালির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ লাম্পেদুসায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সাত হাজারেরও বেশি অভিবাসী এসেছেন৷ ভেঙে গেছে দ্বীপটির আশ্রয়ব্যবস্থা৷ প্রসিকিউটর জভান্নি দি লিও বলেছেন, মঙ্গলবার লাম্পেদুসায় রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীবাহী ১১২টি নৌকায় নোঙ্গর করেছে৷
এসব নৌকায় পাঁচ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন৷ এর আগে গেল মাসে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৩টি অভিবাসীবাহী নৌকা এসেছিল লাম্পেদুসায়৷ বুধবার সকালে আরো এক হাজার ৩০০ অভিবাসী নতুন করে দ্বীপে যুক্ত হয়েছেন৷ এই ঘটনার পর দ্বীপটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷
উত্তর আফ্রিকান দেশ থেকে অনিয়মিত অভিবাসনপ্রবাহ ঠেকাতে জুলাইয়ে টিউনিশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ চুক্তির আওতায় টিউনিশিয়ার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে আর্থিক সহায়তা দেয়া ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনেক সদস্য সমালোচনায় মুখর হয়েছেন৷
অবশ্য, অভিবাসন নিয়ে চাপে থাকা ইটালি চুক্তিটির পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে৷