বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন
বিডিসিলেট ডটকম : হজে পাঠানোর নামে সিলেটে সাজিদ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সি ৪৪ হাজির ৩ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় মহানগরের কোতোয়ালী থানায় সাজিদ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী পিতাপুত্রসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৭জুলাই) কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত মঙ্গলবার(২৫ জুলাই)রাতে নগরের কুয়ারপাড় এলাকার আব্দুল কাইয়ুম খাঁনের ছেলে রেজাউল করিম খাঁন (৩৪) থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- নগরের দক্ষিণ সুরমার ভার্তখলা এলাকার স্টারভিউ টাওয়ার ৪র্থ তলার সাজিদ ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী নরসিংদী জেলার মনোহরদি থানার মৃত আফতাব উদ্দিনের ছেলে অহিদুল আলম ভূঁইয়া, তার ছেলে সাজিদুল ইসলাম ও অহিদুল ইসলামের শ্যালক নরসিংদী দত্তপাড়ার মৃত সাহাদ উদ্দিনের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে অহিদুলের ছেলে সাজিদুল ইসলাম ও শ্যালক মো. শফিকুল ইসলামকে গত রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শোনানী শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, অহিদুল আলম ভূঁইয়ার সঙ্গে এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় মামলার বাদি সিলেটের রেজাউল করিম খাঁনের। তিনি নিয়মিত যোগাযোগের এক পর্যায়ে অহিদুল জানায় তার ট্রাভেলস এজেন্সির মাধ্যমে পবিত্র হজ পালনে লোক পাঠিয়ে থাকেন। হজ পালন ইচ্ছুক লোকদের তার মাধ্যমে হজে পাঠানো যাবে। পরে রেজাউল ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৫ টাকা করে সিলেটের ৯ জনকে হজে পাঠানো বাবদ ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৫ টাকা তুলে দেন ওই ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক ওহিদুলকে। পরে ওই এজেন্সি ৫ জনকে হজে পাঠালেও ৪ জনের টাকা আত্মসাৎ করে।এমনকি তাদের পাসপোর্টও ফেরত দেননি।তাই ভুক্তভোগীদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি মামলাটি করেন।
এদিকে, রাজধানীর উত্তরার আল-আমিন নামের এক ভোক্তভোগি জানান, ট্রাভেলস্ ব্যবসায়ী অহিদুল আলম ভূঁইয়া নিজেকে কথিত ‘মুফতী’ হিসেবে পরিচয় দেন।বিশ্ব ইজতেমায় গিয়ে মুসল্লীদের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি। তাকে বিশ্বাস করে হজ্ব করতে ইচ্ছুক শতাধিক ব্যক্তি টাকা দেন। এরমধ্যে ৪৪ জন হাজি ৩ কোটি টাকার উপরে দিলেও হজে যেতে পারেননি। তাদের টাকাও ফেরত পাননি।