শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন
চুনারুঘাট সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্প্রে পার্টির ভয়ে আতঙ্কে সময় পার করছে পৌর শহরের বাসিন্দারা। চেতনানাশক স্প্রে ছিটিয়ে অজ্ঞান করে লুট করে নিচ্ছে নগদ টাকা ও গহনা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ টি বাসা লুট হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জানা যায়, নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোর সবাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। কেউ কেউ সুস্থ হলেও দীর্ঘ দিন থাকছে চেতনানাশকের প্রভাব। থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাতে কিংবা দিনে নিখুঁতভাবে লুট করছে চোর সদস্যরা। ২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে পৌরসভার উত্তর বাজারে দি স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের বাসায় চুরি হয়েছে।এসময় বাসার মালিক সাস্থ্য সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া (৫২) ও তার স্ত্রী নয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আলেয়া(৪৫) কে চেতনা নাশক স্প্রে ছিটিয়ে অজ্ঞান করে টাকা পয়সা ও মূল্যমান জিনিসপত্র লুট করে নেয়। তাদেরকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বুধবার সকালে উদ্ধার করে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ১৮ জুলাই চুনারুঘাট পৌর শহরের উত্তর বড়াইলে রৌশন মঞ্জিলের মালিক আব্দুল হাইর বাসা ও এইচএস শান্তি নিকেতনের মালিক হাবিবুর রহমান মুসলিমের বাসায় চেতনানাশক স্প্রে করে বাসার জানালার সিদ কেটে বাসার ভেতরে প্রবেশ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলেও ভুক্তভোগীরা জানিয়েছন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়া তথ্য মতে,গত ১৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ৪ বাসা বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রেতে আহত হয়ে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধা-শিশুসহ ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন,অজ্ঞান করে চুরির ঘটনায় আজ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।খবর পেয়ে থানা পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগ করার পরামর্শ দেয়।চুরির ধারাবাহিকতায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপজেলাবাসী।মাধবপুর সার্কেলের সরকারি পুলিশ সুপার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী বলেন তদন্ত হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।