শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় বাস উল্টে এ পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ২৫ জন। বাসার স্মৃতি পরিবহন নামের যাত্রীবাহী বাসটি ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে ছাদে ও ভেতরে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। এ সময় বাসটি উল্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাসটি ছত্রকান্দা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন পুকুরে উল্টে যায়। বেলা ১টা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলছিল।
বাসে থাকা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আহত যাত্রী আজাদ হোসেন (৫০) জানান, তিনি লক্ষ্মীপুর থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া যান। এরপর বরিশালের উদ্দেশে এই বাসে ওঠেন। ভেতরে বসা ও দাঁড়ানো শতাধিক যাত্রী ছিল।
পিয়ারা বেগম (৪৫) নামে আরেকজন যাত্রী বলেন, ‘ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে (৬) নিয়ে চিকিৎসার জন্য বরিশাল যাচ্ছিলাম। পথে বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। আমি কোনো রকমে জানালা থেকে মাথা বের করে মেয়েকে হাতের কাছে পেয়ে টেনে বের হই। তখন দেখি সে মৃত।’
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর যাত্রী নাইমুল ইসলাম বলেন, ‘ভান্ডারিয়া থেকে বরিশালের উদ্দেশে বাসটিতে যাচ্ছিলাম। গাড়ির ভেতরে ও ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আমি ৩-৪ মিনিট পানির নিচে থাকার পর জানালা থেকে বের হই।’
দুপুর ১টা পর্যন্ত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত ও আহত যাত্রীদের নেওয়া হচ্ছিল ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে।
উদ্ধার কার্যক্রমের বিষয়ে ঝালকাঠি দমকল বাহিনীর সদস্য মামুন বলেন, আমরা গাড়ির ভেতরে ডুব দিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। আরও কিছু যাত্রীর পা ধরে টানাটানি করলেও তাদের মৃতদেহ আনা যাচ্ছে না। উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এখানে ১২ জন চিকিৎসক আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছি। আহতদের কাটা ও ব্যথার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের শনাক্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
ঝালকাঠি সদর থানার সেকেন্ড অফিসার গৌতম ঘোষ জানান, সদর হাসপাতালে আনা নিহত ও আহতদের নাম ঠিকানা এবং তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।