শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
বিডি সিলেট নিউজ ডটকম:: সিলেটের জকিগঞ্জের ফতেহপুর গ্রামের আজমল আলীর দ্বিতীয় মেয়ে শাহিদা বেগম (১৬)-কে জাবের আহমদ নামে একটি ছেলে মোবাইল ফোনে প্রায়ই প্রেম প্রস্তাব দিত। গত ১৮ আগস্ট বিকাল অনুমান ৩.৩০ ঘটিকায় শাহিদা টেইলার্সের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য বাড়ী হতে বের হয়ে রাস্তায় আসা মাত্রই পূর্ব হতে ওৎপেতে থাকা জাবের নির্জন স্থান পেয়ে উজ্জল (২০) ও আসাদ (২১) দ্বয়ের সহায়তায় অপহরণ করে বিয়ানীবাজার থানাধীন নাটেশ্বর গ্রামের রউফনগর নামীয় একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের ভিতর নিয়ে শাহিদার হাত ও মুখ চেপে ধরে আরো ৩/৪ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে শাহিদা বেগম বাড়ীতে এসে লজ্জায় ও ভয়ে বিষয়টি কাউকে না বলে গোপন রাখে। পুনরায় গত ১৯/০৮/২০২০খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান ৪ ঘটিকার সময় জাবের ও নাজেল আহমদ শাহিদাকে ফোন করে তাদের সাথে যাওয়ার জন্য বলে। শাহিদা তাদের সাথে যেতে না চাইলে তারা বিভিন্ন হুমকি দেয়। পরবর্তীতে জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-২১, তারিখ-২০/০৮/২০২০খ্রিঃ, ধারা-নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৯(৩) রুজু হওয়ার পর হতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন সহ ঘটনায় জড়িত আসামী গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ আসামী গ্রেফতারে থানা পুলিশসহ জেলার একাদিক টিম কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১১.৩০ ঘটিকার সময় জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোঃ আব্দুন নাসের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামী উজ্জল আহমদ উরফে উজ্জল (২০) কে সিলেটের হুমায়ুন চত্বর সিলেট হতে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার আদিনাবাদ গ্রামের মৃত লুবই মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর বরাত দিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ লুৎফর রহমান জানান , গণধর্ষণ মামলার আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।