সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিডিসিলেট ডেস্ক : চাকরি স্থায়ী করার দাবি এবং আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে নতুন কর্মচারী নিয়োগের প্রতিবাদে আন্দোলনরত অস্থায়ী শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে একতা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। আর শ্রমিকরা রেলপথ ছেড়ে তাদের দাবি নিয়ে রেলভবনে যাচ্ছেন।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদৎ আলী বলেন, বিকেল পৌনে ৩ টা পর্যন্ত মোট ২৬ টি ট্রেন আটকে ছিল। কমলাপুর থেকে এখন পর্যন্ত ৩ টি ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। একতা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস স্টেশন থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গেলেও কমলাপুর স্টেশনে এখনও ৫ টি ট্রেন আটকে আছে। এছাড়া তেজগাঁও স্টেশনে ২টি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ৩টি, বিমানবন্দর স্টেশনে ৪টি, টঙ্গী স্টেশনে ৪টি এবং পূবালী থেকে ভাওয়াল পর্যন্ত ৬ টি ট্রেন আটকে আছে।
যাত্রীরা বলছেন, বেলা সাড়ে ১১ টার অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এখনও ছাড়েনি। এছাড়া বেলা সোয়া ১টার মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, দুপুর পৌনে ১ টার চট্টলা এক্সপ্রেসও ছাড়েনি। কখন ছাড়বে বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, রোববার সকাল ১০টায় এফডিসি রেলগেট এলাকায় রেললাইনের ওপর ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী শ্রমিকবৃন্দ’ ব্যানারে অবস্থান শুরু করেন তারা।
মূলত বাংলাদেশ রেলেওয়ের নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি ফেরত দেওয়া, স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করা এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পাশ বহাল রাখার দাবিতে ট্রেন আটকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন অস্থায়ী শ্রমিকরা।